মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় দ্রুত জনসম্মুখে কার্যকর করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই বিপ্লবে শহীদ ঈসমাইল হোসেন রাব্বির বাবা মো. মিরাজ মিয়া।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী মামলার রায় শুনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে আসেন মিরাজ মিয়া। আদালতের রায় ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান।
শহীদ রাব্বির বাবা বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর না করলে আমাকে ১০০ গুলি করুন। আমার বুক ঝাঁজরা করে দিন। আমার ছেলে ছিল আমার আপন। শেখ হাসিনা তার পুলিশ, র্যাব বাহিনী দিয়ে গুলি করে আমার সন্তানকে হত্যা করেছে। এখন আমার বুকের ধন সেই ছেলে আর নাই। হাসিনার এক বার নয়, জনসম্মুখে তাকে কয়েক হাজার বার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা প্রয়োজন। ’
মিরাজ মিয়া জানান, আমার ছেলে শরীয়তপুর একটা কলেজে পড়াশুনা করতো। যখন সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হলো, ওই মুহূর্তে আমার ছেলে আমার কাছে ঢাকায় চলে এলো। এসেই সে আন্দোলনে যোগ দেয়। ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে আমার ছেলের কপাল বরাবর হাসিনার বাহিনী পুলিশ-র্যাব গুলি করে। আমার ছেলের কপাল দিয়ে বুলেট ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে তার মাথার মগজ বের হয়ে যায়। তাকে নিহত অবস্থায় শহীদ মিনারে নিয়ে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
রাব্বির বাবা বলেন, ‘আমার ছেলেকে নির্মমভাবে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, যেভাবে আমার আদরের সন্তানকে আমার কোল থেকে কেঁড়ে নিয়ে গেছে, হাসিনাকে কয়েক হাজার বার ফাঁসি দিলেও তার অপরাধের সমান হবে না।’
সন্তান হারা এই বাবার ভাষ্য, ‘হাসিনা যেভাবে এ দেশে আমাদের মতো বাবাদের কোল খালি করেছে, যেভাবে তার হানাদার বাহিনী দিয়ে আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছে, তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করলেও এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে না।‘
সোমবার শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মামলার রায় শুনে ট্রাইব্যুনালের সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকজন শহীদ পরিবারের সদস্য ও আন্দোলনে আহতরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তাদের দাবি, শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের যেকোন উপায়ে দেশে ফিরিয়ে এনে আজকের দেওয়া রায় অনুযায়ী ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।
একেএস/ক.ম








































































