ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি পিণ্ডি যেখানেই থাক, তাকে ধরে এনে ফাঁসি দিতে হবে বলে দাবি করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মিরাজের বাবা আব্দুর রব।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে তো আমি আর পাবো না। ছেলেকে হত্যার জন্য খুনি শেখ হাসিনার যেন ফাঁসি হয়, সেটা নিজ চোখে দেখতে এসেছি।’
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের একথা বলেন মিরাজের বাবা।
আব্দুর রব বলেন, ‘দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। এই দেশে যেন আর কোনো সরকার এমন করতে না পারে। দেশে জবাবদিহিতা তৈরি করতে হবে এই বিচারের মধ্য দিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে মিরাজকে ৫ আগস্ট হত্যা করা হয়। আমার মিরাজ মাথায় পতাকা বেঁধে বের হয়েছিল। সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী ছিল। এ গণহত্যার হুকুমদাতাদের মৃত্যুর আদেশ যেন শুনতে পাই।’
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় পড়া শুরু হচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যেই। বিচারপতি গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই রায় ঘোষণা করবেন।
বিজ্ঞাপন
রায় ঘোষণা আদালত কক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি। সেখান থেকে ফেুটেজ নিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোও প্রচার করতেস পারবে। এছাড়া রায় ঘোষণা প্রচার করবে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্সও।
এই রায় ঘোষণাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চত্বরসহ আশপাশ এলাকায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এদিন সকাল ৯টার কিছুক্ষণ পর কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে মামলার রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে।
অন্য দুই আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক। তাদের অনুপস্থিতিতেই আজ ঘোষণা হচ্ছে এ মামলার রায়। অন্যদিকে বছরখানেক ধরে কারাগারে রয়েছেন সাবেক আইজিপি।
আইন অনুযায়ী, আত্মসমর্পণ করলে সাধারণত সুপ্রিম কোর্টে আপিলের সুযোগ পান আসামিরা। তবে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের ক্ষেত্রে সে সুযোগ নেই। কারণ, তারা দুজনেই পলাতক।
জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় প্রথম রায় হচ্ছে আজ। সাড়ে ৩ মাসের আনুষ্ঠানিক বিচার শেষে প্রতিক্ষীত রায়।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, মারণাস্ত্র ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশসহ আসামিদের বিরুদ্ধের পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণ হয়েছে। ফলে রাজসাক্ষী আবদুল্লাহ আল-মামুন ছাড়া বাকি দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টিএই/এএইচ








































































