ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যদিও দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ২০ থেকে ২৪ জনের মৃত্যুর কথা জানাচ্ছে। এ অবস্থায় মৃতের সংখ্যা মাল্টিসেক্টরিয়াল বিষয় জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংখ্যাটি শুধুমাত্র ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে থাকা মরদেহের সংখ্যা বলে জানানো হয়েছে।
সোমাবর (২৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল শাখার পরিচলক বলেন, মৃতের সংখ্যাটি মাল্টিসেক্টরিয়াল বিষয়। আমরা শুধুমাত্র ভৈরব হাসপাতালে থাকা লাশের সংখ্যা বলেছি। আমাদের পাশাপাশি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন আহত ও নিহতদের উদ্ধারে কাজ করছে। ফলে প্রকৃত সংখ্যাটি এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। উদ্ধারকাজ চলমান আছে। পরবর্তীতে সব বিভাগ মিলেয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বলা যাবে।
ভৈরব হাসপাতালে থাকা মৃতদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে থাকা ১৬ জনের মধ্যে ১৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণসহ লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আহতদের চিকিৎসা ও খরচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভৈরব হাসপাতালে মোট ৭৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২২ জন গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে, নিটোর ও নিউরোসায়েন্সে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল ৮ ও নিটোরে ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা অন্যান্য হাসপাতাল বা ঢাকার পথে রয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ১৫ জনকে রেফার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জনকে সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর ৯ জন বর্তমানে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এমএইচ/এএস




























