কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নয়জনের পরিচয় জানা গেছে। স্বজনরা এসে তাদের মরদেহ শনাক্ত করে। নয়জনের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য। বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পাঁচ দিন আগে নান্দাইলে এসেছিলেন তারা। মারা যাওয়া বাকিদের পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন- ভৈরবের রাধানগর গ্রামের আফজাল হোসেন, ময়মনসিংহের নান্দাইলের জোছনা আক্তার, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের হুমায়ুন কবির, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার আদির উদ্দিন।
এছাড়া নান্দাইল উপজেলার একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন-সুজন, তার স্ত্রী ফাতেমা এবং তাদের ভাতিজা সজিব ও ইসমাইল। নিহত সুজনের ভাই মিজান তাদের মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
মিজান জানান, বড় ভাইয়ের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সুজন পরিবার নিয়ে এসেছিলেন। বিয়ে শেষে আজ ঢাকায় ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় চারজন মারা যান।
সোমবার বিকেল তিনটার দিকে ভৈরবে এগারসিন্ধুর ট্রেনের পেছনে ধাক্কা দেয় একটি মালবাহী ট্রেন। এতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়া এগারসিন্ধুর ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর মধ্যে শেষের তিনটি বগি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিজ্ঞাপন
এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। আহতদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি কাজ করছে।
দুর্ঘটনার পরই দুটি উদ্ধারকারী দুটি ট্রেন ভৈরবের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এর একটি যায় আখাউড়া থেকে। অন্যটি যায় ঢাকা থেকে।
উদ্ধারকারী ট্রেন দুটি লাইনচ্যুত হওয়া এগারসিন্ধুর ট্রেনের বগি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া কন্টেইনারবাহী ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করতে দুটি কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে। দুটি তদন্ত কমিটিতেই পাঁচজন করে সদস্য রাখা হয়েছে। কমিটিতে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রেল পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম জানান, পূর্বাঞ্চলের চিফ ও বিভাগীয় পর্যায়ে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চিফ পর্যায়ে পাঁচজন ও বিভাগীয় পর্যায়ে পাঁচজনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার জন্য কনটেইনারবাহী ট্রেনকে দায়ী করে এর লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার ও গার্ডকে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এমআর




























