রাজধানীর বিলাসবহুল শপিং মল যমুনা ফিউচার পার্কে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। দেশের অন্যতম বড় এই বিপণিবিতানের অভিজাত ব্র্যান্ডের দোকানগুলোয় ক্রেতাদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। তবে পণ্যের দাম শুনে কেউ কেউ অবাক হচ্ছেন, কেউ আবার নির্দ্বিধায় লাখ টাকার কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।
ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাকের সমাহার দেখা গেছে দোকানগুলোতে। বিশেষ করে নামিদামি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর দোকানগুলোয় উপচেপড়া ভিড়। এখানে আসা ক্রেতাদের অনেকেই খরচ করছেন মোটা অঙ্কের টাকা। নামিদামি ব্র্যান্ডের দোকানগুলোয় একেকটি টি-শার্টের দামই চার থেকে ছয় হাজার টাকা বা তারও বেশি। যা মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে। তবে উচ্চবিত্ত ক্রেতাদের জন্য দাম যেন কোনো বিষয়ই না!
বিজ্ঞাপন
যমুনা ফিউচার পার্কের একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড শপ জেন্টেলৈ পার্কে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। পছন্দের টি-শার্ট কিনছেন তারা। এখানে ২৫০০ থেকে ছয় হাজার টাকার দামের বিভিন্ন মডেলের টি-শার্ট দেখা গেছে। বিক্রয় কর্মী বলেন, ‘এগুলা দুবাই থেকে আমদানি করা অরজিনাল ভিসকসের টি-শার্ট। যা অতিরিক্র গরম ও শীত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এজন্য দাম একটু বেশি।’
ঈদের কেনাকাটায় তরুণদের পাশাপাশি পরিবার নিয়েও আসছেন অনেকে। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের জন্যও ব্র্যান্ডেড পোশাক কিনছেন। গুলশান থেকে আসা এক দম্পতি জানান, ছেলের জন্য একটি ব্র্যান্ডেড শার্ট কিনেছেন কয়েক হাজার টাকায়।
বিজ্ঞাপন
তবে মধ্যবিত্তদের একটি বড় অংশ এত দামি পোশাকের দিকে যেতে পারছেন না। তারা অপেক্ষা করছেন ঈদের ছুটির আগমুহূর্তের জন্য, যখন কিছু দোকান ছাড় দেয়। একজন ক্রেতা বলেন, ‘এখানে সব জিনিসেরই অবাক করা দাম। সবাই তো আর এত দাম দিয়ে কিনতে পারে না। শেষের দিকে ডিসকাউন্ট হলে তখন দেখব।’
বিক্রেতারা বলছেন, আসল ক্রেতাদের ভিড় শুরু হবে ঈদের আগমুহূর্তে। তখন বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা। অন্যদিকে কিছু ক্রেতার মত, নামিদামি ব্র্যান্ডের পাশাপাশি দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর পণ্যের দামও অনেক বেড়েছে, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
যমুনা ফিউচার পার্কের একাধিক দোকানের ম্যানেজার বলেন, ব্র্যান্ডসচেতন ক্রেতাদের জন্য দাম খুব বড় বিষয় নয়। তারা গুণগত মান ও ডিজাইনের দিকে বেশি মনোযোগ দেন। আমরা চেষ্টা করি ট্রেন্ডি ও এক্সক্লুসিভ কালেকশন রাখতে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পোশাকের দাম বাড়ার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো আমদানিকৃত পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক, ডলার সংকট এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি। ফলে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর পোশাক এখন আগের চেয়ে আরও ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। তবে উচ্চবিত্ত ও ব্র্যান্ডসচেতন ক্রেতাদের কাছে দাম কোনো বিষয় নয়, পছন্দই আসল।
টিএই/জেবি