রমজানের রোজা ফরজ। সুবহে সাদিক থেকে-সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত করে পানাহার ও যৌনাচার ত্যাগ করার নাম রোজা। রোজার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেছেন—‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
এটিই হচ্ছে রোজার মূল নির্দেশ। বান্দার ওপর রোজা ফরজ হওয়ার এটিই বিধান। এখানে তারাবিকে শর্ত করা হয়নি। তাই তারাবি না পড়লে রোজা মূল্যহীন হবে না, মাকরুহও হবে না।
বিজ্ঞাপন
তবে, তারাবি নামাজের অনেক গুরুত্ব ও মর্যাদা রয়েছে। এই ইবাদত শুধু রমজান মাসের জন্যই খাস। অন্য কোনো মাসে তারাবি নেই। তাই রমজানের বিশেষ ইবাদত হিসেবে এতে অংশগ্রহণ করা বড়ই ফজিলতপূর্ণ আমল। এতে ক্ষমাপ্রাপ্তির ঘোষণা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সর্বপ্রথম তারাবির নামাজ পড়েছেন যিনি
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন- مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতে ইবাদত করবে (তারাবি পড়বে) তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি: ৩৭)
অতএব, কেউ যদি তারাবির নামাজ না পড়ে, তার রমজানের ফরজ রোজা আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু তারাবির মাধ্যমে তার যে মর্যাদা পাওয়ার সুযোগ ছিল, সওয়াব কামাইয়ের সুযোগ ছিল তা থেকে তিনি বঞ্চিত হলেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: দ্রুত তারাবি পড়লে যে ক্ষতি
শরয়ি ওজর ছাড়া তারাবির নামাজ ছেড়ে দেওয়া মাকরুহে তাহরিমি। তাই অবহেলাবশত তারাবি না পড়া মুমিন মুসলমানের অনুচিত। (কিতাবুল মাবসুত: ২/১৪৫, রদ্দুল মুখতার: ১/৬৫৩, ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ৫/৭৭)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তারাবির মতো রমজানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি আমলের প্রতি আন্তরিকতা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি করে দিন। আমিন।