বাড়ি ভাড়া চূড়ান্ত না হওয়ায় ১০ হাজার ৪৮৭ বাংলাদেশির হজযাত্রা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে হজ প্রস্তুতির সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন এমন শঙ্কার কথা জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সর্বশেষ সোমবার (৭ এপ্রিল) আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে জুম প্ল্যাটফর্মে সভা করেছেন।
এজেন্সির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৮ এপ্রিল দুপুর ১২টা ৩০ পর্যন্ত মক্কায় এক হাজার ১২৬ জন এবং মদিনায় এক হাজার ৬৭ জন যাত্রীর নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে হোটেল/বাড়িভাড়ার রিকোয়েন্ট এখনও সাবমিট করা হয়নি। এ ছাড়া বেসরকারি মাধ্যমের ৮১ হাজার ৯শ জন যাত্রীর মধ্যে আজ দুপুর ১২টা ৩০ পর্যন্ত মক্কায় ৭৪ হাজার ৬২৬ জন ও মদিনায় ৭৮ হাজার ৬৮৭ জনের বাড়িভাড়া নিশ্চিত হয়েছে এবং মক্কায় সাত হাজার ২৭৪ জন এবং মদিনায় তিন হাজার ২১৩ জন মোট ১০ হাজার ৪৮৭ জন যাত্রীর বাড়িভাড়া এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে অব্যাহতভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাড়িভাড়ার রিকোয়েস্ট সাবমিট করার জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। বাড়িভাড়া চুক্তি সম্পাদন করেনি এরূপ এজেন্সিগুলোকে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। গতকাল পর্যন্ত এরূপ এজেন্সির সংখ্যা ছিল ২১, কিন্তু এখন সেটা নয়টিতে নেমে এসেছে। সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সব হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যেই সব হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করার জন্যও আমরা হজ এজেন্সিগুলোকে চিঠি দিয়েছি।
খালিদ হোসেন বলেন, আমরা সব এজেন্সিকে অনুরোধ জানাব, তারা যেন হজযাত্রীদের হজব্রত পালনের স্বার্থে সৌদি সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাড়িভাড়ার রিকোয়েস্ট সাবমিট ও ওই রিকোয়েস্ট অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীদের সৌদি গমনের ক্ষেত্রে আশঙ্কা থেকে যায়। হজযাত্রীদের প্রতি কতিপয় হজ এজেন্সির কমিটমেন্ট ও দায়বদ্ধতার অভাবে এখনও বেসরকারি মাধ্যমের ১০ হাজার ৪৮৭ হজযাত্রীকে নিয়ে আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের মাধ্যমে স্পষ্ট করে বলতে চাই? কোন এজেন্সির অবহেলা বা গাফলতির কারণে একজন হজযাত্রীও যদি হজ করতে না পারে সে দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে। এ দায় কোনোভাবেই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বহন করবে না। কোন এজেন্সির অবহেলা ও দায়িত্বহীনতাকে ধর্ম মন্ত্রণালয় বরদাস্ত করবে না।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৪ বা ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে হজ। প্রতি বছর ঈদের এক মাস আগে থেকেই শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো।
এমআর