মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ফরিদপুরে সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩০

জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৭ এএম

শেয়ার করুন:

ফরিদপুরে সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩০

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া উভয়পক্ষের ১০টি দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে স্থানীয় জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে তাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।


বিজ্ঞাপন


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার নুরু মাতুব্বর ও জাহিদ মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। বর্তমানে নুরু মাতুব্বর বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকায় এই পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার ভাই, উপজেলা শ্রমিক লীগে সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসুর মাতুব্বর।

এ বিরোধের জেরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র, ঢাল-সড়কি, রামদা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নুরু মাতুব্বরের সমর্থক নান্নু মাতুব্বরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে লুটপাট করে প্রতিপক্ষ। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে জানতে কথা হয় জাহিদ মাতুব্বরের সঙ্গে। নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে শামা ওবায়েদ (বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক) আপার গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগের দোসররা। তারাই আবার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে আজ বিকালে আমার সমর্থক, বাজারের ইলেকট্রিক্যাল ব্যবসায়ী মামুন শেখ (৩৫) কে মারধর করে। এরপরই মারামারি হয়। এই মারামারিতে আমার পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মুনসুর মাতুব্বর বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে আমাদের মারামারি হয়েছে। জাহিদ মাতুব্বর লাবু চৌধুরীর (সাবেক এমপি) লোক। বিগত দিনে তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। আজ বিকালে বালিয়া গ্রামের আমাদের পক্ষের সবুর খাঁকে প্রথমে মারধর করে তারা। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আমার পক্ষের অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


রাত ১০টার দিকে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত হওয়ায় সংঘর্ষ ঠেকাতে বেগ পেতে হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর