দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আজ (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরেছেন। এ উপলক্ষে উচ্ছ্বসিত তার মামলা লড়া আইনজীবীরাও।
২০০৭ সালের এক-এগারো সরকার এবং পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে। অবশেষে সেসব মামলা থেকে খালাস পেয়ে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তারেক রহমান লন্ডনে থাকাকালীন তার মামলাগুলো পরিচালনা করেন দলটির নিবেদিতপ্রাণ আইনজীবীরা। এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বসিত সেসব আইনজীবীরা।
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপটে বলেন, তারেক রহমান সাহেবের দেশের প্রচলিত আইন, আদালতের প্রতি আস্থাশীলতা এবং সংবিধানের প্রতি উনার যে শ্রদ্ধাবোধ, এটা আমি বিগত বছরগুলোতে উনার কাছ থেকে পেয়েছি। একজন আইনজীবী হিসেবে সেটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
তিনি বলেন, ‘উনি (তারেক রহমান) আমাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন যে, আইনি প্রক্রিয়ায় যেন উনার মামলা নিষ্পত্তি হয়। এর অর্থটাই হচ্ছে— তিনি আইন, আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একজন আইনজীবী হিসেবে এটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি আনন্দের বিষয় ছিল যে, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব— যিনি সংবিধান, আইন, আদালতের প্রতি সব সময় ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। তার আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি, তিনি দেশে এসেছেন এটা আমাদের জন্য আনন্দের।’
তারেক রহমানের মামলা পরিচালনা করা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিদেশে থাকা তো স্বেচ্ছায় ছিল না। এক-এগারো পরবর্তী সেনা সমর্থিত সরকারের নির্যাতন পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়ার পরে তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে পারেননি বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের প্রতিহিংসার কারণে। তিনি দীর্ঘ বছর পর ফিরে এলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘আমি-আমরা তার এই ফিরে আসাকে স্বাগত জানাই। বিগত সময়ে তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক মামলা হয়েছিল, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি সে সমস্ত মামলা থেকে মুক্ত হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আমাদের সর্বোচ্চ আদালত আমাদের নেতা তারেক রহমানের প্রতি ন্যায়বিচার করেছেন। সেই ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আমি তার আইনজীবী হিসেবে সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দিত।’
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, আমি আমার দায়িত্ববোধ থেকে, আমার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা থেকে এবং আমার কঠিন ও কঠোর ব্রত এবং দায়িত্ব হিসেবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা-মোকদ্দমায় তার পক্ষে আইনি সহায়তা করার জন্য একজন কর্মী হয়ে উনার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিগত ১৮ বছরে আইন অঙ্গনে যতটা সম্ভব লড়াই সংগ্রাম করা যায়, তার চেয়ে বেশি করার চেষ্টা করেছি। আমাদের নেতা দেশে ফিরছেন, আমরা সে মাহেন্দ্র ক্ষণের অপেক্ষায় রয়েছি।’
এএইচ













































