বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর একাংশে ভিড় বাড়লেও অন্যদিকে অধিকাংশ এলাকা ফাঁকা। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।
আজ দেশে তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচিকে ঘিরে শহরের একটি নির্দিষ্ট অংশে মানুষের চাপ ও যানজট বাড়লেও ঢাকার বড় অংশজুড়ে ছিল ভিন্ন চিত্র। সকাল থেকেই যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, পল্টন ও ধানমন্ডির অনেক সড়কে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম।
বিজ্ঞাপন
বেসরকারি বিভিন্ন অফিসে ছুটি বা অনানুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম সীমিত রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ফলে কর্মঘণ্টার ব্যস্ত সময়ে যেখানে এসব এলাকায় স্বাভাবিকভাবে মানুষের ভিড় থাকে, সেখানে আজ দেখা গেছে প্রায় ফাঁকা সড়ক ও অলস সময় কাটানো দোকানকর্মীদের।
একদিকে ৩০০ ফিট ও আশপাশের এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে যানজট, নিরাপত্তা তল্লাশি ও মানুষের ঢল নেমেছে, অন্যদিকে ঢাকার বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক এলাকাগুলো কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। বিশেষ করে মতিঝিল ও কারওয়ান বাজার এলাকায় অফিসগামী মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই সীমিত। অনেক বাসস্ট্যান্ডে বাস থাকলেও যাত্রী ছিল হাতে গোনা।

নিউমার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোড এলাকাতেও স্বাভাবিক দিনের মতো কেনাকাটার চাপ দেখা যায়নি। দোকানিরা জানান, সকাল থেকে বিক্রি খুব কম। অনেক ক্রেতা নিরাপত্তা ও যান চলাচল পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বাইরে বের হননি।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর এই দ্বিমুখী চিত্র নিয়ে পথচারীদের মাঝেও নানা আলোচনা চলছে। শাহবাগ এলাকায় হেঁটে চলা এক পথচারী আবদুল কাদের বলেন, সাধারণত এই সময় শাহবাগে দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া যায় না। আজ দেখছি রাস্তা প্রায় ফাঁকা। সবাই হয় প্রোগ্রামে গেছে, নয়তো অফিস বন্ধ থাকায় ঘরে বসে আছে।
অন্যদিকে মতিঝিল এলাকায় এক নারী পথচারী শারমিন আক্তার বলেন, একদিকে শুনছি ৩০০ ফিটে মানুষের চাপ আর যানজট, আর এখানে দেখছি রাস্তায় গাড়িই নেই। এমন বৈপরীত্য খুব কমই দেখা যায়। অফিস বন্ধ না থাকলে হয়তো আমাকেও বের হতে হতো।
ট্রাফিক বিভাগের একাধিক সদস্য জানান, আজকের দিনে তাদের দায়িত্বও ভিন্নভাবে ভাগ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে নির্দিষ্ট এলাকায় জনবল বাড়ানো হয়েছে, আর অন্য এলাকায় স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কাজের চাপ কম ছিল। এতে কোথাও কোথাও সিগন্যালে দীর্ঘ সময় গাড়ি না থাকায় ট্রাফিক সদস্যদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সব মিলিয়ে আজকের দিনে ঢাকা যেন দুই রকম চেহারায় ধরা দিয়েছে এক পাশে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মানুষের ঢল ও ব্যস্ততা, আর অন্য পাশে অস্বাভাবিক ফাঁকা সড়ক ও বন্ধ অফিসের নীরবতা। এই বৈপরীত্যই রাজধানীর রাজনৈতিক দিনগুলোর চিরচেনা বাস্তবতা হিসেবে আবারও সামনে এসেছে।
এম/এএস



















































