একুশে ফেব্রুয়ারি যে লক্ষ্য নিয়ে ভাষাশহীদেরা জীবন দিয়েছিল আজ বাহাত্তর বছর পর এসেও তা বাস্তব রূপ পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) নেতারা। তারা বলছেন, যারা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে তারা রাষ্ট্রভাষার অধিকার কেড়ে নেওয়াদের উত্তরসূরী।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে দলের নেতারা সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
এদিন রাত ১২টা ১ মিনিটে রাজধানীর বিজয় নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ ফুল, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে একটি মৌন মিছিল বের হন দলের নেতা কর্মীরা।
এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, বিএম নাজমুল হক ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে মৌন শোক মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে পৌঁছায়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকালে এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, একুশের বইমেলা ছিল আমাদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাণের মেলা। কিন্তু আজ সেখানে দলীয় সরকারের মোসাহেব আর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শত্রুদের দখলস্বত্ব কায়েম হয়েছে। সেখানে ভিন্নমত বা সরকার বিরোধী মতের লেখকদের বই স্থান পায় না।
তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে ভাষা শহীদেরা জীবন দিয়েছিল আজ বাহাত্তর বছর পর এসেও তা বাস্তব রূপ পায়নি। দেশের জ্ঞান চর্চার স্বার্থে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিল তা হয়নি। সেই লক্ষ্য পূরণেই এবি পার্টি এমন একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে চায় যেখানে বাংলায় জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় কোনো বাধা থাকবে না।
বিজ্ঞাপন
দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু মহান ভাষা আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, অধিকারের জন্য বুক চিতিয়ে মাথা উঁচু করে কথা বলাই একুশে ফেব্রুয়ারির শিক্ষা। আজকে যারা আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে তারা মূলতঃ রাষ্ট্রভাষার অধিকার কেড়ে নেওয়া শাসকদের উত্তরসূরী।
শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন— এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেইন প্রমুখ।
/এএস