বাবা মায়ের হাত ধরে শহীদ মিনারে এসেছে রাব্বি, তন্নি, মাহির-মুইজ। তাদের সকলের বয়স ৩ থেকে ৪ বছর। কেউ কেউ এবারেই প্রথম আবার কেউ এসেছে দ্বিতীয়বার। তাদের মাথায় ভাষার মাসের স্টিকার সম্বলিত ব্যান্ড, কারো হাতে লাল সবুজের পতাকা, কারো হাতে ফুলের তোরা। কেউ আবার গালে আঁকিয়ে নিচ্ছে লাল সবুজের পতাকা। কারো পরনের পোশাক আর হাতের ফুল স্পষ্টই বলে দিচ্ছে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে তারা। শহীদ মিনারের বেদীতে ফুলগুলো হাত দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে স্পর্শ করছে। শ্রদ্ধাঞ্জলীর ফুলের সামনে কেউ কেউ ছবি তুলছে বাবা মায়ের মোবাইল ক্যামেরায়। এতেই তাদের আনন্দ। তাদের এমন আনন্দ মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করছেন সেখানকার দর্শনার্থী থেকে শুরু করে গণমাধ্যমকর্মীরাও।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে যথাযথ মর্যাদায় সারাদেশের মতো রংপুরেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস। দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে আসা ছোট ছোট কোমলমতি এই শিশুরা দৃষ্টি কাড়ে সবার। এছাড়া দিবসের প্রথম প্রহরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।
মাহির-মুইজের মা মর্জিনা বেগম জানান, মা হিসেবে মনে করি এখনই সময় তাদের এ দেশের ভাষা, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে শেখানো। তাই প্রথমবার শহীদ মিনারে নিয়ে এসেছি মাহির মুইজকে। শহীদ মিনারে অনেক মানুষ ও ফুল দেখে অনেক খুশি তারা। সেই সঙ্গে অনেক প্রশ্ন তাদের। প্রশ্নের উত্তর শুনে তাদের শেখা ও জানা হচ্ছে। এভাবেই তারা অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা বাড়বে।
শহীদ মিনারে আসতে পেরে খুব খুশি তন্নি। কালো শোক পোশাকে বাবার সঙ্গে এসেছে সে। শ্রদ্ধা জানাতে পেরে খুবই ভালো লাগছে তাকে।
বিজ্ঞাপন
রবিউল ইসলাম রবি বলেন, তিনি ছেলে মেয়ে স্ত্রীসহ এসেছেন শহীদ মিনারে। ভালো লাগছে অনেক অনেক। যা বলে বোঝানো যাবে না। ছেলে-মেয়েরাও অনেক খুশি বলে জানান তিনি।
এমন অনেক অভিভাবক এসেছেন তাদের সন্তানকে নিয়ে। এ প্রজন্মের মাঝে মায়ের ভাষা আর দেশপ্রেম জাগ্রত রাখতে এমন প্রয়াস তাদের।
প্রতিনিধি/টিবি