গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের উপায় হিসেবে সারাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে তার দলকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপি নেতা জমির উদ্দিন সরকার। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন জনগণকে মাথা নত না করতে শেখায়। এখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঘুরে দাঁড়াবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বলতে হবে বিএনপি মানেই শান্তি, গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। ইনশাল্লাহ দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার সরকার বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতির কারণে দেশ অরাজকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও দলটির নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করায় দীর্ঘদিন ধরে কঠিন সময় পার করছে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
বিজ্ঞাপন
সরকার আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন কোনো গতানুগতিক আন্দোলন নয়, এটি একটি আদর্শিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এই ভাষা আন্দোলন আমাদের শিক্ষা দেয় যে- আমরা মাথা নত না করে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব। আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং আমাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাঙালিই একমাত্র জাতি যারা জীবন দিয়েছে, রক্ত ঝরিয়েছে, মাতৃভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে। ‘মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করা গত শতাব্দীতে বাংলা ছিল শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।’
তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনকারীদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের শহীদ মিনার দিয়েছে। ‘কিন্তু শেখ হাসিনার সুবাদে এখন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে শহীদ মিনার তৈরির অবস্থা হয়েছে।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, তাদের দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী খুন ও গুমের শিকার হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে হাজার হাজার মানুষ নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন হয়েছে। ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৫৩ বছর পর এখন আমরা এমন এক ক্রান্তিলগ্নে উপনীত হয়েছি যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।’
‘আসুন আমরা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনি, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসি। দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব।’
এইউ