দীর্ঘ প্রায় চার বছর পর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো হরতাল পালন করলেও ঢাকা থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। তবে রাজধানীর সড়ক পথে গণপরিবহন সংকট ও হরতাল আতঙ্কে যাত্রী কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে লঞ্চও ছেড়ে যাচ্ছে সীমিত সংখ্যক।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল ঘুরে হাতে গোনা কিছু যাত্রী দেখা গেছে। যাদের বেশিরভাগই চাঁদপুর যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
ঘাট কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে— সকাল থেকে মাত্র ৬টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
ঢাকা সদর ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) হুমায়ুন কবির ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই কর্মকর্তা বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত ৬টা লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এই সময়ে লঞ্চ যাওয়ার কথা অন্তত ১২টা। যাত্রী কম। তাই অনেক লঞ্চ তাদের যাত্রা বাতিল করেছে।
আরও পড়ুন
এদিকে সদরঘাটে আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরতাল আতঙ্ক মাথায় নিয়েই তারা সদরঘাট পর্যন্ত এসেছেন।
তামিরুল ইসলাম নামে এক যাত্রী ঢাকা মেইলকে বলেন, বাড়িতে (চাঁদপুর) যাওয়া খুব জরুরি। তাই বাধ্য হয়েই আসছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আতঙ্ক তো আছেই। গতকালের ঘটনার পর (পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ) সবাই আতঙ্কিত। প্রয়োজন না থাকলে আমিও আসতাম না।
টিআই হুমায়ুন কবির জানান, সকাল থেকে ২৪টি লঞ্চ ঢাকা সদরঘাটে এসেছে। লঞ্চগুলোর বেশিরভাগ যাত্রীই সিএনজিচালিত অটোরিকশায় রাজধানীতে তাদের গন্তব্যে গেছেন।
সিএনজি অটোরিকশার চালকরা জানান, সকালে সদরঘাট থেকে বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার যাত্রী ছিল। সকাল ৮টার পর যাত্রী চাপ কমে গেছে। একই সঙ্গে সদরঘাটে আসা যাত্রীর সংখ্যাও একেবারেই কম।
মো. আলহাজ্ব নামে একজন সিএনজিচালক ঢাকা মেইলকে বলেন, যাত্রী নেই। কেউ আসেও না। যায়ও না। তিন ঘণ্টা ধইরা বসা। কোনো যাত্রী পাই না।
কারই/এইউ






































