রাজধানীতে বিএনপি-জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ডাকা হরতাল ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম চলছে গণপরিবহন। এতে সুযোগ দিচ্ছে রিকশা ও সিএনজি চালকরা। অনেক জায়গায় ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কদর বেড়েছে ভাড়ায় মোটর বাইক চালকদের।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুগদা বিশ্বরোড এলাকায় দেখা যায়, প্রতিদিনের থেকে আজকের চিত্র একটু ভিন্ন। প্রতিদিন এই সময়ে এই সড়কের বাসস্ট্যান্ডগুলোতে গাড়ির জটলা থাকলেও আজকে তেমনটা নেই। গণপরিবহন চলছে কম। মাঝে মধ্যে দু-একটা বিআরটিসি বাস ও কিছু নিয়মিত চলাচলকারী বাস চলতে দেখা গেছে। যা প্রতিদিনের তুলনায় খুব সামান্য। রিকশা চলাকদের তুমুল ব্যস্ততা দেখা গেছে। অন্যান্য দিন কমলাপুর বাসস্ট্যান্ডে রিকশার জটলা দেখা গেলেও আজ তেমনটা নেই। কোথাও যেতে বললে ভাড়া যাচ্ছে অনেক বেশি।
বিজ্ঞাপন

মুগদা বিশ্বরোড থেকে মতিঝিলের নিয়মিত ভাড়া ৬০-৭০ টাকা হলেও আজকে চাচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে টিটি-পাড়া বাসস্ট্যান্ডের ভাড়া চাচ্ছে ১০০ টাকার উপরে। যেখানে নিয়মিত ৫০ টাকা দিয়ে যাওয়া যায়।
মুগদা মেডিকেলের সামনে এক যাত্রী বলেন, আমার অফিস ফকিরাপুলে। মিডলাইন, বাহন বাসে যাতায়াত করি। আজকে খুবই কম গাড়ি। রিকশা ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে। তাই হেঁটেই যাচ্ছি। রিকশা চালকদের কাছে বেশি ভাড়ার কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো উত্তর দিচ্ছে না।
এদিকে শুধু রিকশাই নয়, দাপট দেখা গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদেরও। ১৫০-২০০ টাকার ভাড়া ৩০০-৩৫০ টাকা চেয়ে বসছে। মোড়ে মোড়ে রয়েছে বাইক চালকদের জটলা। গণপরিবহন কম থাকায় তাদেরও বেশ কদর লক্ষ্য করা গেছে।
বিজ্ঞাপন
টিএই/জেবি






































