বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ এর প্রভাবে সকাল থেকেই রাজধানীতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে ঢাকার বাতাসে। বৃহস্পতিবার সকালেও ঢাকার বাতাস ছিল অস্বাস্থ্যকর। বায়ুর মানে বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল ষষ্ঠ। অথচ আজ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার বাতাস ‘ভালো’ হয়ে গেছে। বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান ৪৬।
আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) এ সময় ঢাকার স্কোর ছিল ৫১। বাতাসের এ মান ‘গ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৫০-এর মধ্যে থাকলেই তাকে ভালো বলা যেত।
বিজ্ঞাপন
এদিকে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটারে অবস্থান করছে এছাড়াও এটি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার, দক্ষিণ-পশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের ৯নং বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রপ্রান্ত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারি (২৮৯ মি.মি.) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
টিএই/এএস
