মিরসরাইয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে সৃষ্ট দমকা বাতাসে গাছ পড়ে সিদরাতুল মুনতাহা আরিয়া (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সোনাপাহাড় কাটাবিল এলাকার হাসমত আলী ভূঁইয়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
মুনতাহা ওই বাড়ির আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার মেয়ে।
মুনতাহার চাচা মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ঘরের সবার অগোচরে শুক্রবার বিকেলে বাড়ির সামনে গেলে একটি গাছ পড়ে আমার ভাতিজি গুরুত্বর আহত হয়। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা, মৌমিতা রায় বলেন, সিদরাতুল মুনতাহা আরিয়া নামের এক শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।
এদিকে মিধিলি’র প্রভাবে দমকা হাওয়ায় উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। জমির পাকা আধাপাকা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। বিদ্যুতের কারণে বাসা বাড়িতে পানি না থাকায় কষ্ট রয়েছে মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ে দুপুরের পর থেকে মুসলধারে বৃষ্টির কারণে শীতকালীন সবজি ক্ষেতে পানি জমে রয়েছে। পানি না সরলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা।
মিঠানালা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক জামশেদ আলম বাবু বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমাদের সুয়িা এলাকায় গাছের ডাল ভেঙ্গে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেনর তপুর পরামর্শে ইউনিয়নের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে দ্রæত গাছ গুলো সরিয়ে দিয়েছি।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম সাইফুল আহমেদ জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। গাছ পড়ে তাঁর ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আমবাড়িয়া এলাকায় তাঁর ছিঁড়ে রেললাইনের উপর পড়ে ছিল। আমি টিম নিয়ে গিয়ে তার সরিয়েছি। আমাদের কর্মীরা মাঠে কাজ করছে। এত বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ কখন স্বাভাবিক হবে বলা যাচ্ছেনা।
বিজ্ঞাপন
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলার প্রভাবে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে এক শিশু গাছ পড়ে মারা গেছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে ঘূর্নিঝড়ে সতর্কতা সংকেত ৬ নম্বর থেকে ৩ নম্বরে নেমে এসেছে। আমরা বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে যাবো।
প্রতিনিধি/ এজে




























