উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে ঝড়ের কবলে পড়ে ইতোমধ্যে জেলার অনেক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে অনেক পরিবার।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে দিনভর টানা তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেছে জেলার তালতলী উপজেলার মালিপাড়ায় ২টি ঘড়সহ বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে। এবং সদরের সার্কিট হাউসে গাছ পরে বিদ্যুৎের খুটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বরগুনার জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঝড়ো বাতাসে 'এ পর্যন্ত গাছ পড়ে ঘরবাড়ি ভাংচুরের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাদের বাড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায়। আমি সহ আমার ইউনো, ম্যাজিস্ট্রেট গনরা খোঁজ খবর নিচ্ছে। এবং এখন পর্যন্ত কোন প্রকার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি!
তিনি আরও বলেন, ‘মিধিলি’র মোকাবেলায় বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলায় ৬৪২ টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। তারমধ্যে বরগুনা সদরে ১৮৫, আমতলী ১১১, পাথরঘাটা ১২৪, তালতলী ৫৩, বেতাগী ১১৪ ও বামনা উপজেলায় ৫৫ টি। মুজিব কেল্লা রয়েছে ৩টি। আশ্রয়ন কেন্দ্র ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন। জেলায় স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্য রয়েছে ৯ হাজার ৬১৫ জন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমাদের মানবিক সহায়তা মজুদ রয়েছে খাদ্য ৪৩০ মে: টন। নগদ অর্থ ৬ লাখ। ঢেউ টিন ৯৬ বান্ডিল। কম্বল ২ হাজার পিচ। বন্যার তথ্য জানতে এবং জানাতে ৬ উপজেলায় ৬ টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রাত ৮টার মধ্যে জেলার সর্বস্তরের মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হয়। একজন মানুষও এ ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়হীন থাকবে না, সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এজে