লক্ষ্মীপুরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে ২১১টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬১টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাকী ৫০টি কাঁচা ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্ষেতে থাকা কাঁচাপাকা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। এদিকে বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম চরমনসা, পূর্ব মনসা ও চর ভূতা গ্রামের ফসলের মাঠ পরিদর্শন করে দেখা গেছে, শীতকালীন শাক-সবজি পানির নিচে। আধাপাকা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কৃষকের দাবি ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখে কিন্তু এখন পর্যন্ত কৃষি বিভাগের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি।
একই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর রামগতি সড়কের মিয়া বেড়ী বাজার এলাকায় রোজিনা আক্তার নামে এক নারীর ঘরে গাছ উপড়ে পড়ে থাকার ঘরটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
কৃষক আবুল কালাম, আব্দুর রশিদ, জালাল আহমেদ ও মো. আজাদ হোসেন বলেন, একদিনের ঘূর্ণিঝড় আমাদের মাঠের সকল ফসল বিনাশ করে দিয়েছে। কয়েকদিন পর আমরা হাটে নিয়ে শাক-সবজি বিক্রি করতে পারতাম এখন সবকিছুই শেষ। কৃষি বিভাগ বা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে কেউ আমাদের বিন্দুমাত্র খবর নেয়নি।
বিজ্ঞাপন
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা ইউনুস মিয়া বলেন, ঝড়ে ১৬১টি বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫০টি কাঁচাঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. জাকির হোসেন বলেন, কয়েকটি স্থানে ক্ষেতে থাকা আমন ধানের গাছ ভেঙে পড়েছে। আমন ক্ষেত ও সবজি ক্ষেতে পানি জমে আছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে ধানসহ ফসলের ক্ষতি কম হবে।
তিনি জানান, জেলাতে ৮৩ হাজার ৫০৯ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। শীতের সবজির আবাদ হয়েছে তিন হাজার হেক্টর জমিতে। ক্ষেতের আমন ধান এখনও কাঁচা। এ পর্যন্ত ৬ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, ঝড়ে জেলার বিভিন্নস্থানে একশোটির বেশি খুঁটি পড়ে গেছে। গাছপালা পড়ে ৩০০শ’র বেশি স্পটে তার ছিড়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ট্যন্সফরমারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ সরবার স্বচল করতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা কাজ করছে।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও কৃষকদের সহয়তা বিষয় জানতে একাধিকবার মোবাইল করার পরও কল রিসিভ করেননি জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান।
প্রতিনিধি/ এজে