ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে নদী পথে বরগুনা- ঢাকা গামী সকল ধরনের নৌযান গতকাল সকাল থেকে বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা জারি থাকবে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্য কিছু সংখ্যক যাত্রীরা লঞ্চ টার্মিনালে এসে নদীতে পানির তীব্রতা দেখে এবং লঞ্চ চলাচল বন্ধের কথা শুনে আবার বাসায় ফিরে যায়।
এ বিষয়ে এমকে শিপিং লাইন্সের বরগুনা শাখার ব্যবস্থাপক এনায়েত হোসেন বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর স্থানীয় নৌ বিপদ সংকেতের কারণে বরগুনা নদী বন্দর থেকে পরবর্তী সময়ে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গতকাল থেকে আজ শুক্রবার বরগুনা থেকে কোনো লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। আবহাওয়া ভালো হলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আবার লঞ্চ চলাচল শুরু করবে।
এদিকে, ঘুর্ণিঝড় ‘মিথিলি’র প্রভাবে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত পুনঃ ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ‘মিথিলি’ এর প্রভাবে সাগর ও পায়রা, বলেশ্বরসহ বরগুনায় বয়ে যাওয়া নদী গুলো উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘুর্ণিঝড় ‘মিথিলি’ মোকাবিলায় বরগুনা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জেলার ছয়টি উপজেলায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিনটি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখাসহ সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এজে