বিশ্বকাপের উন্মাদনা শুরু হবে রাত পোহালেই। বিশ্ব মোড়লের দেশে চার-ছক্কার পসরা মেলে ধরবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের জাঁকজমকপূর্ণ এ টুর্নামেন্ট নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে বিরাজ করছে চরম-আগ্রহ উদ্দীপনা। উদ্দীপনায় ভেসে যাওয়ার আগে চলুন জেনে আসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকের ঘটনা, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ও তিন টাইগার ক্রিকেটারের নাম।
২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর। সেবার বাংলাদেশও খেলেছিল এ টুর্নামেন্টে। উদ্বোধনী আসরেই হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার। সেটিও হয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচেই।
বিজ্ঞাপন
এফ গ্রুপের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তখনকার অস্ট্রেলিয়া দল ছিল দারুণ প্রতাপশালী। অজিদের দলে ছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ম্যাথু হেইডেন, রিকি পন্টিংদের মতো ক্রিকেটের সব কিংদবদন্তিরা। আর বোলারদের মধ্যে ছিলেন মিচেল জনসন, ব্রেট লির মতো গতিদানবরা।
অজি গতিদানবদের সামনে টাইগার ক্রিকেটাররা পর্যদুস্ত হয়েছিলেন। আগে ব্যাট করতে নেমে ৮২ রান তুলতেই তামিম ইকবাল, নাজমুদ্দিন, আফতাব আহমেদদের উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপরই মোক্ষম আঘাত হানেন ব্রেট লি।
ম্যাচের ১৭ ওভারের খেলা চলছে তখন। ক্রিজে আছেন সাকিব আল হাসান। লির করা ওভারের তৃতীয় বলেই কট বিহাইন্ড হয়ে আউট হন সাকিব। এরপরের বলেই লির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন মাশরাফি মোর্তাজা। তারপর ওভারের পঞ্চম বলে অলক কাপালিকেও ফেরান অজিদের কিংবদন্তি এই পেসার।
বিজ্ঞাপন
তিন টাইগার ক্রিকেটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে এভাবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন লি। এদিকে উদ্বোধনী আসরেই হ্যাটট্রিকের দেখা মিললেও এরপরের পাঁচ আসরে আর কোনো বোলারই টানা তিন বলে তিন উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়তে পারেননি।
তবে সবশেষ দুই আসরে অবশ্য পাঁচটি হ্যাটট্রিকের ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের টুর্নামেন্টে এ কীর্তি গড়েছেন আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার, শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা। এরপর সবশেষ ২০২২ সালের আসরে হ্যাটট্রিক করেছেন আরব আমিরাতের কার্তিক মিপান ও আয়ারল্যান্ডের জশ লিটল।