রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঈদের আগে ভিন্ন চেহারায় সদরঘাট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

ঈদের আগে ভিন্ন চেহারায় সদরঘাট
ছবি: ঢাকা মেইল।

বছরে যে দুটি উৎসবকে কেন্দ্র করে নৌযানগুলো সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহন করে থাকে তারমধ্যে ঈদুল ফিতর অন্যতম। ঈদের আগে লাখ লাখ যাত্রীর পদচারণায় মুখর থাকা সদরঘাটে গতবছর থেকে ভিন্ন রূপ দেখা যাচ্ছে। কারণ, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে অল্পসময়ে বরিশাল বিভাগের মানুষের বাড়ি ফেরার পছন্দের মাধ্যম হয়ে উঠেছে সড়কপথ। তাই এবারও ঈদে চিরচেনা সেই ভিড় নেই সদরঘাট নৌ-টার্মিনালে।

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ছিল মঙ্গলবার। পবিত্র শবে কদরের কারণে অনেকে গতরাত ঢাকায় ইবাদত বন্দেগিতে কাটিয়ে বুধবার (১৯ এপ্রিল) বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন। ফলে ঈদযাত্রায় অন্যান্য রুটের মতো নৌ-পথেও আজ বেশি চাপ থাকবে এমনটা প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঈদের চাপ বলতে যা বোঝায় তার ছিটেফোঁটাও নেই সদরঘাটে।


বিজ্ঞাপন


Sodorghatঈদ ঘিরে এই সময়ে যাত্রীদের চাপে যেখানে পুরো সদরঘাট ও আশপাশের এলাকায় পা ফেলার সুযোগ থাকে না, সেখানে এবার কাউন্টার-টার্মিনালেও লোকজনের চাপ নেই। যাত্রীর চাপের কারণে আগে নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করত, ফলে অনেকেই ভোরে গিয়েই লঞ্চে জায়গা রাখতেন। তবে এখন তার এসবের কিছুই নেই।

বেশিরভাগ লঞ্চ এখনো ফাঁকা, অনেক লঞ্চের কেবিনও ফাঁকা। অথচ অন্যসময় বেশ আগেই কেবিন শেষ হয়ে যেত। কেবিনের জন্য অনেকটা হাহাকার লেগে যেত যাত্রীদের মধ্যে। আবার লঞ্চের লোকজন এই সুযোগে বাড়তি ভাড়াও নিতেন। তবে সবকিছু এখন ভিন্ন। উল্টো কেবিন নিয়েই এখন অপেক্ষা করছেন লঞ্চের লোকজন।

Sodorghatযদিও বেশিরভাগ লঞ্চের বুধবারের কেবিন বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক লঞ্চের স্টাফরা। আর যে লঞ্চগুলোর ডেকে বেশি যাত্রী লক্ষ্য করা গেছে সেগুলো হলো- বরগুনা, পাথরঘাটা, ভোলা, চাঁদপুর, আমতলীর লঞ্চ। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ বাড়বে- এমন প্রত্যাশা লঞ্চ সংশ্লিষ্টদের।

Sodorghatএদিকে, বরিশালের লঞ্চগুলো রাতে ছাড়ার কারণে এখনো ডেকের যাত্রী নেই বলে দাবি করেছেন লঞ্চের স্টাফরা। ঢাকা-বরিশাল রুটে চলা এমভি মানামি লঞ্চের সুপারভাইজার শুভ ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের আজকে এবং আগামীকালের কেবিনের বেশি চাপ। দুদিনের কেবিন সব বুকিং হয়ে গেছে।


বিজ্ঞাপন


শুভ জানান, লঞ্চে যাত্রী কম হবে এ ধারণা আগে থেকেই ছিল। তবে যারা পরিবার নিয়ে একটু ঝামেলা ছাড়া বাড়ি যেতে চান তারাই বেশি কেবিন নিয়েছেন।

Sodorghatলঞ্চে ঈদযাত্রার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের মালিক মো. নিজাম উদ্দিন ঢাকা মেইলকে বলেন, গতবছর থেকেই যাত্রী সংকট শুরু হয়েছে। এবারও চলছে। সামনে হয়তো আরও বাড়বে। কারণ, লঞ্চে গেলে সারারাত কেটে যায়, কিন্তু গাড়িতে ৩-৪ ঘণ্টায় মানুষ বরিশাল চলে যাচ্ছে। এভাবে চললে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।

বিইউ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর