আজ থেকে শুরু হয়েছে মুসলিমদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি। গতকাল মঙ্গলবার সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ছিল। ফলে রাত থেকেই গ্রামের পানে ছুটতে শুরু করেছেন অনেকেই। সবমিলিয়ে বুধবার অন্যদিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ কিছুটা বেশি থাকলেও কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই ট্রেনে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা। নেই চিরায়ত স্টেশনে প্রবেশের কিংবা ট্রেনে ওঠার জন্য ঠেলাঠেলি।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সরজমিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ দিন ফজরের পর থেকেই স্টেশনে যাত্রীর চাপ ছিল। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ কিছুটা কমে আসে।
বিজ্ঞাপন
এ দিন বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসে উঠতে যাত্রীদের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। সুশৃঙ্খলভাবে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ট্রেনে উঠেছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে ভোগান্তি আর ভিড়ের আশঙ্কায় আগে থেকেই স্টেশনে অবস্থান করছেন অনেকেই।
সিলেট যাওয়ার উদ্দেশে স্টেশনে আসা আরাফ হোসেন নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রতিবছর ট্রেনে বাড়ি যেতে একরকম যুদ্ধ করতে হয়। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। টিকিট কাটতে কোনো লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। অনলাইনে কিছুটা সমস্যা হলেও টিকিট পেয়েছি। সবথেকে বড় কথা কোনোপ্রকার হ্যাসেল ছাড়াই ট্রেনে উঠতে পেরেছি।
একই কথা জানিয়েছেন অন্য যাত্রীরাও। প্রায় সব যাত্রীই এবারের ঈদযাত্রায় রেলওয়ের নেওয়া উদ্যোগ-ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি জানিয়েছেন।
সার্বিক বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার ঢাকা মেইলকে বলেন, সকাল থেকে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে যাত্রীদের নিরাপদ ও ঝামেলাহীন যাত্রা নিশ্চিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আজ সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২০টি ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে গেছে। প্রতিটা ট্রেনই সঠিক সময়ে ঢাকা ছেড়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ভিড় আরও বাড়তে পারে এমন তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। আশা করি, এবার যাত্রীর চাপ সামলাতে কোনো সমস্যা হবে না।’
এমএইচ/আইএইচ



























