পদ্মা সেতু চালুর পর যশোর-নড়াইল সড়কের ব্যস্ততা বাড়লে ধীরগতিতে চলছে এর নির্মাণকাজ। তবে নির্মাণকাজের কারণে রাস্তা ছোট হয়ে গেছে। যানবাহন চলাচল একমুখী হওয়ায় যানজট লেগেই থাকে। সড়কে বক্স কেটে রাখায় খাদে দুর্ঘটনায় পড়ছে বিভিন্ন যানবাহন। এরমধ্যে ঈদযাত্রায় যুক্ত হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার ঘরমুখো মানুষের চাপ। সড়ক নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এবং দুর্ঘটনা বাড়বে বলে ধারণা করছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক।
সড়কে চলাচলকারী দেশ ট্রাভেলস বাসের চালক হুমায়ন কবির বলেন, যশোর-নড়াইল সড়কের প্রশস্ত এমনিতেই কম, তার উপর নির্মাণকাজের জন্য রাস্তা আরও ছোট হয়ে গেছে। রাস্তার একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে আর অন্যদিকের গাড়ি থেমে থাকছে। এতে রাত-দিন যানজট লেগেই থাকে। ঈদযাত্রার গাড়ি চাপ থাকবে বেশি। তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়বে বেশি।
বিজ্ঞাপন
হানিফ পরিবহনের চালক নজরুল ইসলাম বলেন, রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়ায় গাড়ি দুর্ঘটনা বেড়েছে। আবার রাস্তায় বক্স কেটে রাখায় গাড়ি মুখ থুবড়ে পড়ে খাদে। সামনে ঈদুল ফিতরে এই রোডে বাড়তি চাপ থাকবে বহুগুণ। তখন তো যানজট সৃষ্টি হয়ে যাবে এই সড়কে।
দুজন ঠিকাদার বলেন, রাস্তা নির্মাণকালে বক্স কাটার পর ফেলা রাখা উচিত না। বালুর কাজ দ্রুত শেষ করা উচিত। কিন্তু ওই রোডের ঠিকাদার তা না করে অযথা কাজ ফেলে ভোগান্তি বাড়াচ্ছেন।

যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুর রহমান মিন্টু বলেন, যশোর-নড়াইলের রোডের কাজ শেষ না হওয়ায় যানজট নিরসন হচ্ছে না। নির্মাণের কারণে রাস্তা ছোট হয়ে গেছে। ফলে একমুখী যানবাহন চলাচল করছে। এ কারণে যানজট লেগেই থাকে। রোজার ঈদে ১০ জেলার পরিবহণের চাপ থাকবে। তখন কি অবস্থা হবে! ভেবেই ভয় লাগছে। দ্রুত রোডের কাজ শেষ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
যশোর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফ চাকলাদার বলেন, রোড সরু হওয়ায় বাস ও মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা বেড়েছে। নড়াইল রোডে যেখানে সেখান বাস-ট্রাক মুখ থুবড়ে পড়ছে। গত মঙ্গলবারও দায়তলা এলাকায় ট্রাক উল্টে খাদে পড়েছে। এইরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর-নড়াইল সড়কের কাজ চলছে। কাজ করছে মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। আমরা তাগিদা দিচ্ছি দ্রুত কাজ শেষ করার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিস্তারিত জানতে হলে অফিস সময়ে দফতরে আসতে হবে।
প্রতিনিধি/এইচই



























