শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

সিত্রাং: আকস্মিক বন্যার শঙ্কা পানি উন্নয়ন বোর্ডের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০১:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

সিত্রাং: আকস্মিক বন্যার শঙ্কা পানি উন্নয়ন বোর্ডের

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়তে পারে নদ-নদীগুলোতেও। ফলে আকস্মিক বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে ২৫ থেকে ২৬ অক্টোবর দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। এতে দেশের পূর্বাঞ্চলের মুহুরী, গোমতী ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মনু, খোয়াই, সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সময় বিশেষে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে আগামী ২৪ ঘণ্টার নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আগামী ২৫ থেকে ২৬ অক্টোবর দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ সংঘটিত হতে পারে। এই সময়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য অববাহিকার কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই সময়ে দেশের পূর্বাঞ্চলের মুহুরী, গোমতী ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মনু, খোয়াই, সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সময় বিশেষে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে সময় যত ঘনিয়ে আসছে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এর প্রভাবে দেশের চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। 

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ৮ নম্বর বিশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে। এর ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৭ (সাত) নম্বর বিপৎসংকেত (পুন:) ০৭ (সাত) নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ০৭ (সাত) নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৬ (ছয়) নম্বর বিপৎসংকেত (পুন:) ০৬ (ছয়) নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ০৬ (ছয়) নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।


বিজ্ঞাপন


টিএই/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর