শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’: সর্বোচ্চ বৃষ্টি বরিশালে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ১২:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’: সর্বোচ্চ বৃষ্টি বরিশালে

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব সারাদেশেই পড়তে শুরু করেছে। দেশের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানা গেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে সর্বোচ্চ ৭১ মিলি মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালিতে ৫৫, ভোলায় ৩৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সংস্থাটি। 

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।


বিজ্ঞাপন


আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রী সে. হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রবর্তী অংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে। এর ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এদিকে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীবন্দরগুলোকে ০৩ (তিন) নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত (পুন:) ০৩ (তিন) নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


‘ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা/ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেইসঙ্গে ভারী (৪৪-৮৮ কিলোমিটার) থেকে অতিভারী (≥ ৮৯ মিলোমিটার) বর্ষণ হতে পারে।’

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ৫ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

টিএই/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর