মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে লাগা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মার্কেটটির ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে পুড়ে যাওয়া দোকানের প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে ঘটনাস্থলের দক্ষিণ পাশের চৌরাস্তায় হাজির হওয়ার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একজন হ্যান্ড মাইকে এমন ঘোষণা দিচ্ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা পুড়ে যাওয়া নিজের দোকানটি খুঁজতে এবং প্রয়োজনীয় মালামাল পেতে মরিয়া ছিল। কিন্তু কাউকেই মার্কেটের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে দুপুরে একটার পর মার্কেটটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবি সদস্যরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়লে তাদের সরিয়ে দেয় সেখানে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
মার্কেটের পশ্চিম পাশে ঢাকা সোনালী ব্যাংকের নিচে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়েছেন এবং তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসার আহ্বান করছেন।
এ সময় মাইকে বলা হয়, আপনারা নিজ নিজ দোকানের সামনে চলে যান। যাতে কেউ কোনো মালামাল সরিয়ে না ফেলতে পারে। পাশাপাশি দোকানটি যে আপনার এর প্রমাণস্বরূপ জাতীয় পরিচয় পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, দোকান মালিকের সাথে চুক্তিপত্র এবং মোবাইল নম্বর সাথে নিয়ে আসবেন।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আজকের মধ্যেই মার্কেটের দক্ষিণ পাশে থাকা সোনালী ব্যাংকের নিচে ব্যবসায়ীদের আসতে হবে।
এমন ঘোষণা শুনে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। অনেকের কাগজপত্র পড়লেও দোকান মালিকের সাথে চুক্তিপত্র রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র রয়েছে। কিন্তু যাদের এসবের কোনোটাই নেই তারা বেশ বিপাকে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ সকালে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্কেটে যারা প্রকৃত দোকান ব্যবসায়ী তারাই যেন ক্ষতিপূরণ পান। সেই সাথে তাদেরকেই যেন দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়।
অবশ্য ব্যবসায়ীদের ঘোষণার আগে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে লোকজন এসেছিল। তারা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছেন। কতজন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত সেই তালিকাও তারা প্রস্ততির কাজ করছেন।
এদিকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দোকানের সংখ্যা ২৪৩টি। কিন্তু দোকান ব্যবসায়ীদের দাবি দোকান রয়েছে ৩১৭টি। এর মধ্যে পুড়ে গেছে ২১৭টি। মার্কেটটিতে স্থায়ী দোকান ছাড়াও ভাসমান মিলে দোকানের সংখ্যা ৫৫০ এর অধিক ছিল বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।
এমআইকে/এমএইচএম