মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আগুন দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছে। মার্কেটের আশপাশ এলাকায় জড়ো হওয়া জনতার ভিড় ঠেকাতে হিমশিম হিমশিম খাচ্ছেন সেখানে থাকা বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। বিজিবির সদস্যরা বারবার হুইসেল বাজালেও কেউ কোনো কর্ণপাত করছে না। ফলে আগুন নেভাতে কিছু বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ারের কর্মীদের।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া দশটার দিকে কৃষি মার্কেটের সামনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
বিজিবি সদস্য আল আমিন বারবার হুইসেল দিচ্ছেন। কিন্তু উৎসুক জনতাকে কোনোভাবে সরাতে পারছেন না। কখনো হাতে আবার কখনো হুইসেল সংকেতে তাদের সরানোর চেষ্টা চলছে। শুধু কি বিজিবি সদস্যরা অন্যদিকে পুলিশ সদস্যরাও বেশ হিমশিম খাচ্ছেন।
কৃষি মার্কেটের সামনের তিন মুখী রাস্তায় এখন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রেখে পানি আনা হচ্ছে। সেই পানি পাইপ হয়ে চলে যাচ্ছে ফেটানো স্থানে পাইপে। কিন্তু এসব পাইপ মাড়িয়ে উৎসুক জনতা হাঁটাচলা করছেন।
বিজিবির কয়েকজন সদস্য হাতে হ্যান্ড মাইক নিয়ে বারবার বলছেন, আপনারা এখানে থাকবেন না। নিরাপদ স্থানে চলে যান। কিন্তু কে শোনে কার কথা। নারী পুরুষ শিশুরাও এসেছেন আগুন লাগার পর পরিস্থিতি দেখতে।
তবে এরই মাঝে কৃষি মার্কেটের আশপাশ গড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা ব্যক্তিরা বিপাকে পড়েছেন। তাদেরকে উৎসুক জনতার ভিড় ঠেলে যেতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ খবর হলো এখনো সেই উৎসুক জনতাকে সরানো যায়নি। বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, কৃষি মার্কেটে লাগা ভয়াবহ আগুন সাড়ে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় পর সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এর আগে, বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৪৩ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়ে প্রথমে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। এরপর আরও ৭টি ইউনিট পৌঁছে। তারপর আরও ৩টি ইউনিট যায়। একে একে সেখানে পৌঁছেছে ১৭টি ইউনিট।
সার্ভিসের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ করেছে সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে ও উদ্ধার সহায়তায় যোগ দেয় বিজিবিও।
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পানির সহযোগিতা দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা, সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনী।
এমআইকে/এএস