গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামীর নির্বাচন হওয়া উচিত সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন। যাতে জনগণ সমর্থন দেয় এই সংবিধানকে কিভাবে সংস্কার করে গণতান্ত্রিক সংবিধান বানানো যায়। তাহলে এ সংস্কার কেউ বদলাতে পারবে না, কারণ জনগণের সমর্থনই সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর সদর রোডের একটি মিলনায়তনে জেলা গণসংহতি আন্দোলনের ‘নির্বাচনের জন্য সংস্কার-সংস্কারের জন্য নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
জোনায়েদ সাকি বলেন, গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার শেষ করার প্রস্তাব দিয়েছি। আর সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন একই সঙ্গে সরকার গঠনেরও নির্বাচন। নির্বাচনের পর প্রথম থেকেই সরকার গঠন ও সংবিধান সংস্কারের কাজ শুরু হবে। এই তিনটা গুরুত্বপূর্ণ দাবি আদায়ে আমরা সবাইকে নিয়ে আগামী দিনে লড়াই করবো।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের অংশীজন ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমজীবী, রাজনৈতিক দলসহ সবাই। তাই সবাই মিলে আমরা একটি সম্মিলিত জায়গায় আসতে পারি, সে বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। কেউ কেউ যদি বিষয়টিকে এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে যায় তাহলে সেটা সংকটের জন্ম দিবে, আমাদের ফাঁদে ফেলবে। এ বিষয়টি আমরা ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা বার বার বলছি, ন্যূনতম জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তুলুন। পার্থক্য আছে বলে আমাদের ঐক্যটা দরকার। এই অভ্যূত্থানে মানুষের আকাঙ্ক্ষা- নতুন বাংলাদেশ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। তার জন্য একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান, রাষ্ট্র বিনির্মাণ আমরা কিভাবে করবো? তাই এখানে এ তিনটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংবিধানের সংক্ষিপ্ত সংস্কার শেষে আগামীর নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের আহ্বান জানান বক্তারা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত আগামীর সংসদ শুধু সংবিধান নয় সামগ্রিক সংস্কার করবে বলে জানান তারা।
বরিশাল জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড। সভা পরিচালনা করেছেন, সংগঠনের জেলা শাখার নির্বাহী সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মিরাজ ও সদস্য হাসিব আহমেদ।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে