নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মোবাইলফোনে একটি কলের সূত্র ধরে অপহরণের ১৩ দিনের মাথায় ১১ বছর বয়সী এক কিশোরী উদ্ধার হয়েছে। এসময় অভিযুক্ত মুসলিম উদ্দিনকে (২৭) গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে অসুস্থ অবস্থায় অপহৃত ওই কিশোরী উদ্ধার হয়। উদ্ধারের পর পুলিশ তাকে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্যে কিশোরীটিকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
এঘটনায় গত মঙ্গলবার কিশোরীর বাবা থানায় অপহরণের মামলা করেন।
মামলার পর বুধবার পুলিশ উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের মরিচপুর গ্রামের বাসিন্দা মুসলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।
কেন্দুয়ার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গত ৭মার্চ কেন্দুয়া সদর থেকে রোয়াইলবাড়ি-আমতলা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয় কিশোরিটি। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা সম্ভব্য জায়গাগুলোতে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এরই মাঝে গত ১৮ মার্চ ওই কিশোরীর বড় বোনের কাছে মোবাইলফোনে একটি কল আসে। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে কিশোরীটির ওপর নির্যাতন হচ্ছে এমন তথ্য জানায়। পরে কিশোরীর বাবা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ ফোনকলের সূত্র ধরে তদন্ত করে বুধবার মুসলিম উদ্দিনকে তার এলাকা থেকে আটক করে। এর পরেই আজ দুপুরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় একা একাই বাড়িতে ফিরে আসে কিশোরিটি।
ওসি আরও জানান, কিশোরিটি ফেরার পরপরই চিকিৎসার জন্য দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় পাঠানো হয় নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে। মেয়েটি খুবই অসুস্থ। এ অবস্থায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। কিশোরীর ডাক্তারি রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে মামলায় ধর্ষণের আইন যুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে