রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছু নেতা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তে বিভ্রান্ত হয়েছেন। তারা নিজেদের ক্ষমতার সীমা ভুলে গিয়ে, দলের জন্য ক্ষতিকর পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার ফলে কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এমনকি নিজেদেরকে জাতীয় নেতাদের সমকক্ষ ভাবতে শুরু করেছেন তারা। কথাগুলো বলছিলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন তিনি। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, চারজনকে নেত্রী দায়িত্ব দিয়েছিল পার্টির খোঁজখবর রাখার জন্য। পরবর্তীতে তারা হয়ে গেল চার খলিফা— এমনকি তারা নিজেদের জাতীয় চার নেতার (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী) সাথে তুলনা করা শুরু করল। এবং সকল প্রকার অন্যায়ের সাথে জড়িত হলো।
বিজ্ঞাপন
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা আরও লিখেন, সেই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৩/এ তে বসে বসে নেত্রীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দিয়ে পার্টির মালিক সেজেছিল। অথচ তারা তাদের নির্বাচনী আসনটিতেই সামাল দিতে পারেনি। সেসময় ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা ৩/এ বাইরে রাস্তায় নিজেদের জীবন বাজি রেখে পার্টি অফিস আগলে রেখেছিল, তা না হলে পাছার চামড়া একটারও থাকত না।
সিদ্দিকী নাজমুল লিখেন, আমাদের সাবেক নেতাদের নেত্রীর কাছে যাচ্ছে বলে পালিয়ে চলে গেল অথচ একবারের জন্য খবরও নিলো না বললও না যে, তোমরা চলে যাও। তার পরদিন তো সবশেষ।
নাজমুল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আরও লিখেন, এই ছিল অবস্থা, মুখ খুললে কিন্তু ল্যাংটা হয়ে যাবে একেকটা সুতরাং এতো ভাব আর চক্ষুগরম দেখায়েন না। কার বউ পোলাপান কোন দেশে কত বছর, কীভাবে রাজকীয় হালে থাকে কোনো কিছুই অজানা নেই, শুধু কর্মীরা জানে না।
এইউ