শীতকালে ঘন কুয়াশা পড়ে। তখন দৃষ্টিসীমা কমে যায়। ফলে সড়ক, মহাসড়কে গাড়ি চালাতে বেকায়দায় পড়তে হয়। শীতের সময়ে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য কিছু কৌশলে গাড়ি চালানো উচিত। পাশাপাশি গাড়ির প্রতিও যত্মশীল হতে হবে। তাহলে কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তাতেও গাড়ি চালাতে কোনও সমস্যা হবে না।
কুয়াশার মধ্যে রাস্তায় বের হওয়ার আগে টায়ারে পর্যাপ্ত ট্রেড রয়েছে কি না, আর তা সঠিক ভাবে ইনফ্লেটেড কিং না, সেটা দেখে নিতে হবে। ছোট্ট এই পদক্ষেপ ট্র্যাকশন বজায় রাখাতে সাহায্য করবে। আর কুয়াশাচ্ছন্ন, ভেজা অথবা পিচ্ছিল রাস্তাতেও গাড়ি কোনও সমস্যা ছাড়াই চলবে।
বিজ্ঞাপন
জোরালো ওয়াইপার্সের ব্যবহার
শীতের দিনে চারিদিক কুয়াশায় ঢেকে যাওয়ার ফলে দৃশ্যমানতা কমে যেতে থাকে। এক্ষেত্রে খারাপ উইন্ডশিল্ড সমস্যা বয়ে আনতে পারে। তাই খারাপ ওয়াইপার ব্লেড রিপ্লেস করে দিতে হবে। ফলে দৃশ্য়মানতা ঠিক থাকবে। আর দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমবে।
আরও পড়ুন: শীতে গাড়ির যত্ন
বিজ্ঞাপন
ব্যাটারির চার্জ
শীতের মৌসুমে জেরে ব্যাটারি ড্রেন-আউট হয়ে যেতে পারে। ব্যাটারি টেস্ট করে গাড়ির ইঞ্জিনকে সচল রাখতে হবে। এটি পরীক্ষা করিয়ে নিলে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা সম্ভব।
শক্তিশালী আলো
কুয়াশায় সাধারণ হেডলাইট কাজ করতে পারে না ভালোভাবে। ফগ লাইট, হেড লাইট এবং ব্রেক লাইট ঠিক রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। এতে দৃশ্যমানতা স্পষ্ট হবে।
ফ্লুইড
তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করলেই গাড়ির বিভিন্ন ফ্লুইডের উপর নজর রাখতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল অ্যান্টিফ্রিজ, উইন্ডশিল্ড ওয়াশার ফ্লুইড এবং ব্রেক ফ্লুইড।
আরও পড়ুন: এই শীতে গাড়ির কী কী যত্ন নেবেন
ব্রেক
কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় বারবার গাড়ি থামানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই কারণে গাড়ির ব্রেক কার্যকর রয়েছে কি না, সেদিকে নজর দেওয়া আবশ্যক।
ফগ-ফ্রি উইন্ডো
আরও একটা প্রয়োজনীয় জিনিস হল ফগড-আপ উইন্ডশিল্ড। গাড়ির ডিফগার এবং ডিফ্রস্টার ব্যবহার করে নিজের গাড়ির জানলা স্বচ্ছ রাখতে হবে। যদি গাড়ির জানলা পরিষ্কার থাকে, তাহলে দৃশ্যমানতারও উন্নতি ঘটে।
জরুরিকালীন ব্যবস্থা
কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তা অনিশ্চয়তায় পরিপূর্ণ থাকে। তাই বেশ কিছু জিনিস জরুরিকালীন ভিত্তিতে মজুত রাখা আবশ্যক। এর মধ্যে অন্যতম হল – ফ্ল্যাশলাইট, জাম্পার কেবল, অতিরিক্ত ফ্লুইড, ব্ল্যাঙ্কেট এবং ফার্স্ট-এড কিট।
হিটিং সিস্টেম
হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় কিন্তু গাড়ির অবস্থাও খারাপ হতে পারে। সেই কারণে গাড়ির হিটিং সিস্টেমের উপর নজর রাখা আবশ্যক।
নিরাপদ ড্রাইভিং
আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে সতর্ক হয়ে ঠান্ডা মাথায় গাড়ি চালাতে হবে। প্রয়োজনে গতি কম রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। নিরাপত্তা বজায় রাখতে ফগলাইট অন রাখা আবশ্যক।
এজেড