আল্লাহর কাছে তাওবা এক মহান ইবাদত। পবিত্র কোরআনের অনেক জায়গায় তাওবার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। গুনাহ হয়ে গেলে দ্রুত তাওবা করা জান্নাতিদের গুণ। আল্লাহ তাআলা বিষয়টি পবিত্র কোরআনে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে এভাবে—
‘(ভালো মানুষ হচ্ছে তারা) যারা যখন কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেলে কিংবা নিজেদের ওপর নিজেরা জুলুম করে ফেলে, (সঙ্গে সঙ্গেই) তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং গুনাহের জন্যে (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা করে। কেননা আল্লাহ ছাড়া আর কে আছে যে গুনাহ মাফ করে দিতে পারে? (তদুপরি) এরা জেনে বুঝে নিজেদের গুনাহের ওপর কখনও অটল হয়ে বসে থাকে না। এই মানুষগুলোর প্রতিদান হবে, আল্লাহ তাআলা তাদের ক্ষমা করে দেবেন। আর (তাদের) এমন এক জান্নাত (দেবেন) যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা বইতে থাকবে, সেখানে (নেককার) লোকেরা অনন্তকাল অবস্থান করবে। সৎকর্মশীল ব্যক্তিদের জন্যে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) কত সুন্দর প্রতিদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।' (সুরা আল ইমরান: ১৩৫-১৩৬)
বিজ্ঞাপন
আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ অবশ্যই সেসব মানুষের তাওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশত মন্দ কাজ করে এবং সত্বর তাওবা করে। এরাই তারা, যাদের তাওবা আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। তাওবা তাদের জন্য নয়, যারা আজীবন মন্দ কাজ করে, অবশেষে তাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হলো; সে বলে, আমি এখন তাওবা করছি। এবং তাদের জন্যও নয়, যাদের মৃত্যু হয় কাফের অবস্থায়। এরা তারাই, যাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তির ব্যবস্থা।’ (সুরা নিসা: ১৭-১৮)
যারা তাওবা করে না বা তাওবা করতে দেরি করে, তাদের অন্তরে দাগ পড়ে যায়। ক্রমান্বয়ে অন্তর ঢেকে যায় কালো দাগে। তখন গুনাহকে গুনাহ মনে হয় না। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (স.) এই বলে সতর্ক করেছেন, ‘বান্দা যখন একটি গুনাহ করে তখন তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে। অতঃপর যখন সে গুনাহের কাজ পরিহার করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাওবা করে তখন তার অন্তর পরিষ্কার ও দাগমুক্ত হয়ে যায়। সে আবার পাপ করলে তার অন্তরে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তার পুরো অন্তর এভাবে কালো দাগে ঢেকে যায়। এটাই সেই মরিচা আল্লাহ তাআলা যা বর্ণনা করেছেন- ‘কখনই না, বরং তাদের অপকর্মসমূহ তাদের অন্তরে মরিচা ধরিয়েছে’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১৪) (তিরমিজি: ৩৩৩৪; ইবনে মাজাহ: ৪২৪৪; মেশকাত: ২৩৪২; সহিহুল জামে: ১৬৭০)
সুতরাং অতীতের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে অবিলম্বে তাওবা করার বিকল্প নেই। প্রিয়নবী (স.) প্রতিদিন তাওবা করতেন; পাশাপাশি তাওবা কবুলের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনাও করতেন। নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন তিনি ৭০ থেকে ১০০ বার তাওবা ও ইস্তেগফার করতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহর শপথ! আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে ৭০ বারেরও বেশি ইস্তেগফার ও তাওবা করে থাকি।’ (বুখারি: ৬৩০৭)
এটি উম্মতের জন্য শিক্ষা। বিশেষ করে এই রমজানে শেষ রাত, ইফতারের পূর্বমুহূর্ত ও ফজর নামাজের পরের সময় তাওবা ও ইস্তেগফারের জন্য উপযুক্ত। সময়গুলো অবহেলায় কাটিয়ে দিলে আমরা অনেক কিছু মিস করে ফেলব। এছাড়াও আরাফার দিনে, জুমার দিনে, প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ইত্যাদি সময়গুলোতে তাওবা-ইস্তেগফার করলে তা কবুলের সম্ভাবনা অনেক বেশি। পড়ুন: দোয়া কবুল হওয়ার কিছু সময়
বিজ্ঞাপন
এখানে তাওবার সময় পাঠ করার জন্য কিছু মাসনুন দোয়া তুলে ধরা হলো—
১) أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظِيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ উচ্চারণ: ‘আসতাগফিরুল্লাহাল আজিমাল্লাজি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’ অর্থ: ‘মহান আল্লাহর কাছে আমি ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, যিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং আমি তাঁর কাছে তাওবা করি।’ জায়দ (রা.) রাসুল (স.)-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি এই দোয়া পড়ে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও সে রণক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে থাকে। (তিরমিজি: ৩৫৭৭)
২) ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲْ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻲَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃﻧْﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢُ উচ্চারণ: ‘রাব্বিগফিরলি ওয়া তুব ‘আলাইয়া, ইন্নাকা আনতাত তাওয়াবুর রাহীম’ অর্থ: ‘(হে আমার) রব! আমাকে মাফ করুন; আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি তাওবা কবুলকারী পরম দয়াময়।’ ইবনু উমার (রা.) বলেন, আমরা গুণে দেখতাম যে, নবী কারিম (স.) একই মজলিসে দোয়াটি ১০০ বার পর্যন্ত পাঠ করছেন।’ (তিরমিজি: ৩৪৩৪, আবু দাউদ: ১৫১৬)
উল্লেখ্য, শুধু বৈঠকেই নয়, যেকোনো সময় এই ইস্তেগফার পড়া যাবে।
৩) سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ উচ্চারণ: ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি।’ অর্থ: ‘আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকট তাওবা করছি।’ আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (স.) মৃত্যুর আগে এই ইস্তেগফারটি অধিক মাত্রায় পড়তেন। (মুসলিম, রিয়াদুস সালেহিন: ১৮৮৬)
আরও পড়ুন
রমজানে দোয়া কবুলের ওয়াদা
রমজানে দোয়া কবুলের বিশেষ তিনটি সময়
৪) أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتوبُ إِلَيْهِ উচ্চারণ: ‘আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি।’ অর্থ: ‘আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তাঁর নিকট তাওবা করছি।’ আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (স.)-এর চেয়ে আর কাউকে এটি অধিক পরিমাণে পড়তে দেখিনি।’ সহিহ ইবনু হিব্বান: ৯২৮)
৫) اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউ-উন কারীম, তুহিব্বুল ‘আফওয়া ফা’ফু ‘আন্নী’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, মহানুভব! তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দাও।’ আয়েশা (রা.) বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি বুঝতে পারি, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, তাহলে ওই রাতে কী বলব?’ নবীজি তখন এই দোয়াটি পড়তে বলেন।’ (তিরমিজি: ৩৫১৩)
রমজানের শেষ দশটি রাতে এই দোয়াটি অধিক পরিমাণে পাঠ করতে হবে। পাশাপাশি অন্য যেকোনো সময়, যেকোনো মাসেও পড়া যাবে।
৬) সাইয়িদুল ইস্তেগফার তথা ‘ইস্তেগফারের নেতা’। দোয়াটি হলো— ﺍَﻟﻠّٰﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲْ ﻟَﺎ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻲْ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ ﺃَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ ﺃَﺑُﻮْﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﺃَﺑُﻮْﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী ওয়া আনা ‘আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহ্দিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতা ত’তু আ‘উযুবিকা মিন শাররি মা সনা’তু আবূ-উ লাকা বিনি’মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূ-উ বিযানবী, ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমিই আমার রব। তুমি ছাড়া কোনো সার্বভৌম সত্তা নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছো আর আমি তোমারই গোলাম। তুমি আমার কাছ থেকে যে অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি নিয়েছ, সাধ্যানুযায়ী আমি তার ওপর চলবো। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি এবং আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। অতএব, তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারণ তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।’
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় এ দোয়াটি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পড়বে, অতঃপর সেদিন সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতিদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এটি পড়বে, অতঃপর সকাল হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সহিহ বুখারি: ৬৩০৬)
আরও পড়ুন
শবে কদরের ফজিলত ও বিশেষ দোয়া
গুনাহ যেভাবে সওয়াবে পরিণত হয়
৭) سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ উচ্চারণ: ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা, আল্লাহুম্মাগফিরলি।’ অর্থ: ‘হে আমাদের রব—আল্লাহ! আপনি মহান; প্রশংসা কেবল আপনারই। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন।’ আয়েশা (রা.) বলেন, কোরআনের নির্দেশ (সুরা আন-নাসরের অনুবাদ দেখুন) অনুযায়ী রাসুলুল্লাহ (স.) রুকু ও সেজদায় গিয়ে এই ইস্তেগফারটি পড়তেন।’ (বুখারি: ৭৯৪)
এই দোয়াটি যেকোনো সময় পড়তে পারেন।
৮) رَبِّ اغْفِرْ لِيْ رَبِّ اغْفِرْ لِيْ উচ্চারণ: ‘রাব্বিগফিরলি, রাব্বিগফিরলি।’ অর্থ: ‘হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন।’ নবী কারিম (স.) দুই সেজদার মাঝে বসা অবস্থায় পড়তেন। (সহিহ মুসলিম: ৭৭২)
৯) اَللّٰهمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كثِيرًا، وَلَا يَغْفِرُ الذُّنوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِيْ، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْم উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী জলামতুন নাফসী জুলমান কাছীরা, ওয়ালা ইয়াগফিরুজ জুনূবা ইল্লা আংতা, ফা-গফিরলী মাগফিরাতান মিন ইনদিকা ওয়ারহামনী, ইন্নাকা আংতাল গাফূরুর রাহীম।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি (গুনাহ করার মাধ্যমে) নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি; তুমি ছাড়া অন্য কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না। অতএব, তোমার পক্ষ থেকে আমাকে পরিপূর্ণভাবে ক্ষমা করো এবং আমার উপর দয়া করো। তুমি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ আবু বকর (রা.) রাসুল (স.)-কে বলেছিলেন একটি দোয়া শিখিয়ে দিতে, যা তিনি নামাজে পড়বেন। তখন নবী কারিম (স.) এটি শিখিয়ে দেন, যা দোয়া মাসুরা নামে পরিচিত। (সহিহ বুখারি: ৮৩৪)
এটি কেবল নামাজের মধ্যেই নয়, যেকোনো সময় পড়বেন। অর্থটা হৃদয়গ্রাহী।
১০) اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّيْ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি মা ক্বাদ্দামতু ওয়া-মা আখখারতু, ওয়া-মা আসরারতু ওয়া-মা আ’লানতু, ওয়া-মা আসরাফতু, ওয়া-মা আনতা আ’লামু বিহি মিন্নী।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আগে-পরে যত গুনাহ করেছি, তা মাফ করে দাও। যেসব গুনাহ গোপনে করেছি এবং যেগুলো প্রকাশ্যে করেছি (সব) মাফ করে দাও। যত বাড়াবাড়ি করেছি, সেগুলো ক্ষমা করে দাও এবং যেগুলো তুমি আমার চেয়ে ভালো জানো, সেগুলোও মাফ করে দাও।’ এটি নবী কারিম (স.) নামাজে সালাম ফেরানোর আগে পড়তেন। (সহিহ বুখারি: ৬৩৯৮)