প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, ঝড়ো হাওয়ায় গাছের শুকনো পাতা যেভাবে আকাশে উড়ে যায়, বোমার আঘাতে পবিত্র ভূমির মানুষদেরকে সেভাবে আকাশে উড়তে দেখল বিশ্ববাসী।
নিজের ভেরিফায়েড ফিসবুক পেজে তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর আটশ কোটি মানুষ, দুইশ কোটি মুসলমান, জাতিসংঘ, ওআইসি, আরববিশ্ব—কেউই হায়েনার হাত থেকে একটি জনপদকে রক্ষা করতে পারল না। বরং সবাই রোমের কলোসিয়ামের গ্যালারিতে বসে গ্ল্যাডিয়েটরদের মৃত্যু দেখার মতো যেন উপভোগ করছে এই বর্বরতা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন কি নবীজির ভবিষ্যদ্বাণীর দিকেই এগোচ্ছে?
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, এই বিশ্ব কতটা সভ্য আর মানবিক, তা পরিমাপের সবচেয়ে উপযুক্ত মিটার হলো ফিলিস্তিন। এই নির্মমতার দায় আমাদের সবার। একদিন আমাদের সকলকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
মহান রবের কাছে চাওয়া শুধু একটাই—মৃত্যুর আগে এই জুলুমের শেষ যেন দেখে যেতে পারি।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আক্ষেপ করে আরও বলেন, আজ হতে শতবর্ষ পরে, লোকেরা যখন গাজার ইতিহাস পড়বে, তারা অবাক হয়ে ভাববে, সেই সময়ের মানুষেরা কীভাবে এই হত্যাযজ্ঞ ঘটতে দিয়েছিল! আমরা এখন যারা জীবিত আছি, আমাদের প্রত্যেককে ইতিহাসের সেই লজ্জা নিয়ে মরতে হবে।