বাজার মূল্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বাঁচার মতো মজুরির দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকার করার দাবি জানিয়েছে তারা।
সোমবার (১ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত এক সমাবেশে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
মে দিবস উপলক্ষে এ দিন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত র্যালি ও সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় জমান নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক দলের উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম খান।
>> আরও পড়ুন: শ্রমিকদের বঞ্চিত করে উন্নয়ন সম্ভব নয়: স্পিকার
‘মে দিবসের অঙ্গীকার, রুখতে হবে স্বৈরাচার’- এই স্লোগানে সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠকালে শ্রমিক দলের উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম খান বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই; অবাধ ও গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার; বাজার মূল্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বাঁচার মতো মজুরি; আইএলও কনভেনশন ১৯০ বাস্তবায়নসহ শোভন নিরাপদ ও বৈষম্যহীন কর্মক্ষেত্র; বন্ধ শিল্প চালু কর, নতুন শিল্প গড়ে তোলো; জরুরি পরিসেবা আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল করতে হবে; জাতীয় ন্যূনতম মজুরি কমপক্ষে ২৫ হাজার করতে হবে; জাতীয় পে স্কেল ও মজুরি স্কেল ঘোষণা করতে হবে; অনির্বাচিত সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।
বিজ্ঞাপন
এ দিন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। এই সরকার কৃষক বিরোধী সরকার, এই সরকার শ্রমিকবিরোধী সরকার। এই সরকার গণবিরোধী সরকার, জনগণের সঙ্গে এ সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই আজকে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে।
>> আরও পড়ুন: শ্রমজীবীদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার করার দাবি নুরের
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের নিজেদের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে, শ্রমিকের স্বার্থে, কৃষকের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আজকে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমই/আইএইচ