রাশিয়া খুব দ্রুত আর্থিক স্থিতিশীলতা হারাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রুশ অর্থনীতিবিদ নিক কোরজেনেভস্কি। তিনি স্যাবেরইনডেক্স নামে পরিসংখ্যান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থায় কাজ করেন। তিনি জানান, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ান ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়েছে।’
পেল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে কোরজেনেভস্কি বলেন, ‘রাশিয়া এখন যুদ্ধের জন্য যে সরাসরি ব্যয় করছে তা বছরে প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমন পরিমাণ অর্থই তাদের ব্যয় করতে হবে।’ তার মতে, শুধুমাত্র যুদ্ধের কারণেই দেশটিকে এমন বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতিও হয়েছে। অর্থের হিসাবে এ ক্ষতির পরিমাণ বছরে ২০-৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এ রুশ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এই বছরের জন্য রাশিয়ার সরকারি ব্যয়ের পূর্বাভাস ধরা হয়েছে ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ, রুশ সরকার রাজস্ব বাবদ মাত্র ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ হাতে পেয়েছে। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে যে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক আগে এই বছরের জন্য রাশিয়ার ব্যয়ের পরিকল্পনা ছিল ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটাই রুশ সরকারের আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান থেকে পাওয়া তথ্য।’
কোরজেনেভস্কি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে অনুভূত হবে।
তিনি জানান, ‘রাশিয়ার জন্য গত বছরটি অনেকের প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ছিল। কারণ, দেশটি যে সরকারি ব্যয় করেছিল তা ছিল তাদের সরাসরি জিডিপির অংশ। এ কারণে রাশিয়া এত ব্যয় করতে পেয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
কোরজেনেভস্কি আরও বলেন, ‘ওই সময় রুশ জ্বালানি তেল এবং গ্যাস নিয়ে যে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ছিল তা ওই বছরের শেষ তিন মাসে রাশিয়ার অর্থনীতির ক্ষতি করেছে। তাই গত বছরের প্রথম ৯ মাসের জন্য রাশিয়ার রাজস্ব প্রাপ্তি পর্যাপ্ত ছিল এবং রুশ শিল্প খাতও ঠিকঠাক ছিল।
সূত্র : আল-জাজিরা
এমইউ