বুধবার, ৮ মে, ২০২৪, ঢাকা

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের দিন বিয়ে হয়েছিল তাদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের দিন বিয়ে হয়েছিল তাদের
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের দিন বিয়ে হয়েছিল ইয়ারিনা আরিয়েভা এবং সভিয়াতোস্লাভ ফুরসিনের

ইউক্রেনীয় দম্পতি ইয়ারিনা আরিয়েভা এবং সভিয়াতোস্লাভ ফুরসিন এই শুক্রবার তাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছেন না। কারণ, তারা ওই দিন বিয়ে করেন যখন রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেণে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ করেছিল।

এখন দেশটিতে রুশ আক্রমণের এক বছর পার হতে যাচ্ছে। কিন্তু, বর্তমানেও সেখানে যুদ্ধ চলছে। এছাড়া ইউক্রেনের ওপর এখনও আকাশ থেকে পড়ছে অসংখ্য রাশিয়ান বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র। দেশটিতে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


কিয়েভে নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করে ইয়ারিনা আরিয়েভা ও সভিয়াতোস্লাভ ফুরসিন জানান, ‘আমাদের উদযাপন করার মতো কোনো কিছু নেই।’

আরিয়েভা জানান, ‘এক বছর কেটে গেছে, কিন্তু সেসব রোমহর্ষক স্মৃতি আবারও মনে পড়ছে।’

তিনি জানান, ‘কয়েক মাস ধরে তিনি চিন্তা করেছেন যে ওই রুশ আক্রমণের কয়েক দিন আগে তিনি দামি স্যুট পরার বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন। কারণ এটি তার জীবনের অন্ধকার মুহুর্তগুলোর স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।’

ওই ইউক্রেনীয় নারী আরও জানান, এটা এমন কোনো চমৎকার স্মৃতি নয়, যা আপনি সর্বদা আপনার নিজের মনে রাখতে চাইবেন।’


বিজ্ঞাপন


আরিয়েভা (২২) ও ফুরসিন (২৫) মে মাসে তাদের পরিকল্পিত বিয়ের কয়েক মাস আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে কিয়েভের সেন্ট মাইকেলের গোল্ডেন-গম্বুজ চার্চে গাঁটছড়া বাঁধতে ছুটে যান। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ যাই হোক না কেন, তার তোয়াক্কা না করে তারা মূলত একসাথে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু, ওই বিয়ের পরই তারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ইউক্রেনীয় আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর স্থানীয় ইউনিটে যোগ দেন। তারা এখনও অস্ত্র ত্যাগ করেননি।

বর্তমানে তাদের বিয়ের স্থানটি বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রিয় স্থান হয়ে উঠেছে। তারা ওই স্থানে এসে ইউক্রেনীয় সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন জানান। অতি সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার তার আকস্মিক সফরের সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সেখানে ছবি তুলেছিলেন।

উল্লেখ্য, রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে। এই হামলাটিকে আন্তর্জাতিকভাবে আগ্রাসন বলে বিবেচনা করা হয়। এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সূত্রপাত করে। এ যুদ্ধের কারণে ৮৮ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় নিজেদের দেশ ছেড়েছে। এছাড়া দেশটির আরও লক্ষাধিক নাগরিক অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সূত্র : সিএনএন

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর