মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

‘দেশে চাকরি পাওয়ার সংগ্রামের চেয়ে বাইরে পড়াশোনা করতে যাওয়া সহজ’

সাখাওয়াত হোসাইন
প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
মো. তানজীমুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ভোলার চরফ্যাশনের মো. তানজীমুল ইসলাম। বেড়ে ওঠা সেখানেই। স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হন দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের ২০১০-১১ সেশনের বোটানি বিভাগে। পড়াশোনা শেষে বিভিন্ন চাকরির ভাইভায় মুখোমুখি হয়ে সফলতা না আসায় হতাশ হয়ে পড়েন তানজীম। পরে পুরো উদ্যমে শুরু করেন বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি। কঠোর অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে অবশেষে সাফল্যের দেখান পান তিনি, আইএলটিএস পরীক্ষায় অর্জন করেন ৭.৫ স্কোর। বর্তমানে তানজীম আমেরিকার মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ওয়েবস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। নিজের সাফল্য এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষায় করণীয় বিষয়ে তিনি মুখোমুখি হয়েছেন ঢাকা মেইলের।

ঢাকা মেইল: আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য কবে থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছেন?


বিজ্ঞাপন


তানজীম: ২০১৬ সালে ব্যাচেলর সম্পন্ন করার পর কয়েকটি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। কয়েকটি ভাইভা পর্যন্ত পৌঁছালেও চাকরি না হওয়ায় মানসিকভাবে অনেক হতাশ হয়ে পড়ি। তখন সিদ্ধান্ত নিই, নিজের ক্যারিয়ার উন্নত করতে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য চেষ্টা করব। এরপর থেকে আইইএলটিএসের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি।

ঢাকা মেইল: নিজেকে প্রস্তুত করেছেন কীভাবে?

তানজীম: দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া ছিল, বিশেষ করে আমার ইংরেজি দক্ষতা উন্নত করা। আমরা সবাই জানি, বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হলে আইইএলটিএস বা সমমানের ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা দিতে হয়। আমি প্রথমবার ২০২১ সালে আইইএলটিএস পরীক্ষা দিই এবং ৬ স্কোর করি, কিন্তু তাতে আমি সন্তুষ্ট ছিলাম না। এরপর কয়েক মাস কঠোর পরিশ্রম করে আবার পরীক্ষা দিই এবং এইবার আমি ৭.৫ স্কোর অর্জন করি। এটি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয় এবং আমাকে আবেদন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।

ঢাকা মেইল: আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আপনি কীভাবে পড়াশোনা করতেন?


বিজ্ঞাপন


তানজীম: আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রতিটি মডিউল (লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং) আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে ইংরেজি সংবাদপত্র পড়েছি এবং রেডিও বা পডকাস্ট শুনে লিসেনিং দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। স্পিকিং মডিউলের জন্য আইইএলটিএস স্পিকিং সেকশনের প্রতিটি অংশ (পার্ট ১, পার্ট ২, পার্ট ৩) আলাদাভাবে অনুশীলন করেছি। আর মক টেস্ট এবং অফিশিয়াল আইইএলটিএস উপকরণ থেকে প্রশ্ন অনুশীলন করেছি। সেইসঙ্গে টিউটর বা শিক্ষকের সহায়তায় রাইটিং টাস্ক প্র্যাকটিস এবং উন্নয়নের জন্য ফিডব্যাক নিয়েছি।

আরও পড়ুন

২০২৫ সালে উচ্চশিক্ষার জন্যে যেসব দেশে যেতে পারেন

ঢাকা মেইল: আমেরিকায় আবেদনের প্রক্রিয়া কেমন ছিল?

তানজীম: আমেরিকায় আবেদন প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ এবং বিস্তারিত। প্রথমে আমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেঁটে আমার পছন্দের প্রোগ্রামগুলো বাছাই করি। তবে পুরো প্রক্রিয়া সহজ করতে আমি একটি কনসালটেন্সির সাহায্য নিই, যারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে। এই কনসালটেন্সি আমাকে এই বিষয়গুলোতে সাহায্য করেছে:

বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই: আমার একাডেমিক প্রোফাইল ও আগ্রহের ভিত্তিতে উপযুক্ত প্রোগ্রাম চিহ্নিত করা।

Tanjim2

ডকুমেন্ট প্রস্তুত: একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, আইএলটিএস স্কোর রিপোর্ট, স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), এবং লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর) তৈরিতে গাইডলাইন দেওয়া।

আবেদন প্রক্রিয়া: আবেদন ফি প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে ডকুমেন্ট আপলোড করা এবং অন্যান্য ফর্ম পূরণে সহায়তা।

ভিসা প্রক্রিয়া: ডিএস-১৬০ ফর্ম পূরণ, এসইভিআইএস ফি প্রদান এবং দূতাবাস সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি।

ঢাকা মেইল: আমেরিকায় পড়াশোনার জন্য আপনাকে কি বিশেষ কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে? কীভাবে তা মোকাবেলা করেছেন?

তানজীম: ভিসা ইন্টারভিউ বা ফান্ডের প্রমাণ দেখানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়েছিল। এটি প্রস্তুতির মাধ্যমে মোকাবেলা করেছি। আর আমেরিকায় ক্লাসরুমের পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তবে শিক্ষক বা সহপাঠীদের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ার মাধ্যমে এই বাধা অতিক্রম করা হয়েছে। আর নতুন সংস্কৃতিতে মানিয়ে নিতে প্রথমে একটু সময় লেগেছে।

ঢাকা মেইল: আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য কী কী প্রয়োজন?

তানজীম: আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- ১. ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা আইইএলটিএস, টোফেল বা সমমানের স্কোর। ২. আর্থিক প্রস্তুতি অর্থাৎ টিউশন ফি এবং জীবিকা নির্বাহের খরচের জন্য ফান্ড দেখাতে হয়। ৩. একাডেমিক যোগ্যতা: অনার্সের জন্য ইন্টারমিডিয়েটের ভালো ফলাফল আর মাস্টার্সের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ভালো রেজাল্ট। ৪. স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি): নিজের পড়াশোনার উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করতে হয়।

৫. লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর): শিক্ষকের বা কাজের সুপারভাইজারের কাছ থেকে।

ঢাকা মেইল: বিদেশে উচ্চশিক্ষা জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতা কতটুকু জরুরি?

তানজীম: বিদেশে পড়াশোনা, কাজের জন্য দক্ষতা এবং যোগ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ইংরেজি দক্ষতার উন্নয়ন এবং একাডেমিক প্রোফাইল মজবুত করা জরুরি ছিল।

আরও পড়ুন

বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে কী কী যোগ্যতা লাগে

ঢাকা মেইল: দূতাবাসের সাক্ষাৎকার কীভাবে ফেস করেছেন?

তানজীম: দূতাবাসের সাক্ষাৎকারের জন্য আমি বেশ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ডিএস-১৬০ ফর্মে দেওয়া তথ্য ভালোমতো পড়েছিলাম, যেখানে যাবো সেখানের আবহাওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রয়োজনীয় সব তথ্য নিয়েছিলাম। সাক্ষাৎকারে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার শিক্ষাগত প্রোফাইল, কেন এই প্রোগ্রাম বেছে নিয়েছি এবং পড়াশোনা শেষে দেশে ফেরার পরিকল্পনা নিয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলেছি।

ঢাকা মেইল: ভিসা পাওয়ার পর অনুভূতি কেমন ছিল?

তানজীম: ভিসা প্রক্রিয়া এবং আবেদন সফল হওয়ার পর অনুভূতি ছিল অসাধারণ। দেশের বাইরে যাওয়ার এত বড় স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছিল। তবে কিছুটা দুশ্চিন্তা ও উত্তেজনাও ছিল, কারণ নতুন দেশ, নতুন পরিবেশ—সবকিছু সামলানোর প্রস্তুতি নিতে হচ্ছিল।

ঢাকা মেইল: আমেরিকাতে আপনার আবাসনের ব্যবস্থা কেমন?

তানজীম: আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি একটি শেয়ারড অ্যাপার্টমেন্টে থাকার ব্যবস্থা করেছি। নতুন জায়গায় মানিয়ে নেওয়ার জন্য শুরুর দিকে কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ করায় অনেক সাহায্য পেয়েছি। সবাই অনেক বেশি হেল্পফুল, তারা আমাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছে।

ঢাকা মেইল: যারা আপনার মতো আমেরিকায় উচ্চশিক্ষায় পড়তে যেতে চান, তাদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?

তানজীম: আমি বলব, যে যদি কেউ দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্য আসতে চায়, তার জন্য অতটা সংগ্রাম করতে হবে না, যেটা আমরা সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য করি। অল্প কিছু রিকোয়ারমেন্টস ফিলাপ করলেই দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য আসা যাবে। যেমন— ১. ইংরেজি ভাষার দক্ষতা। ১. ডকুমেন্ট সঠিকভাবে প্রস্তুত এসওপি এবং এলওআর। ৩. ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি। ৪. আর্থিক পরিকল্পনা: টিউশন ফি এবং দৈনন্দিন খরচের জন্য প্রয়োজনীয় ফান্ড। ৪. স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হোন: এতে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে।

Tanjim3

ঢাকা মেইল: আমেরিকায় পড়াশোনা করতে গিয়ে আপনার জীবনে কোনো বিশেষ পরিবর্তন এসেছে?

তানজীম: আমেরিকায় পড়াশোনা করার ফলে আমার আত্মবিশ্বাস উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আমি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশে কাজ করতে শিখেছি। আর সময় ব্যবস্থাপনা এবং স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন আমি আরো সংগঠিত এবং নিজের কাজ নিজেই সম্পন্ন করতে পারি। বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সাথে মিশে আমার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক প্রসারিত হয়েছে। আমি বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির মানুষদের জীবনধারা, চিন্তাভাবনা এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে নতুন ধারণা পেয়েছি। দলের সাথে কাজ করার এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা অর্জন করেছি। একা থাকা এবং পরিবারের বাইরে নিজের জীবন গুছিয়ে নেওয়ার অভিজ্ঞতা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আরো শক্তিশালী করেছে। নতুন প্রযুক্তি এবং শিক্ষণ পদ্ধতির সাথে পরিচিত হয়ে আমি একাডেমিক উন্নতি করেছি। সেইসঙ্গে আমি বুঝতে পেরেছি যে সাফল্য পেতে ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন

ভালো ফলের প্রতিফলন উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনে নেই কেন?

ঢাকা মেইল: আমেরিকার সাংস্কৃতিক পার্থক্য বা ভাষাগত বাধা কাটানোর জন্য আপনি কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন?

তানজীম: আমেরিকান সংস্কৃতি এবং সামাজিক শিষ্টাচার সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন বই ও অনলাইন নিবন্ধ পড়েছি। আর ইউটিউব ভিডিও এবং আমেরিকান টিভি শো দেখেছি, যা ভাষা বোঝা এবং উচ্চারণের সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করেছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করেছি, যেমন ক্লাব মিটিং, ওয়ার্কশপ এবং সাংস্কৃতিক উৎসব, যা আমাকে নতুন বন্ধু তৈরি করতে এবং নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে সাহায্য করেছে। সেইসঙ্গে যেকোনো ভুলভ্রান্তি থেকে শেখার জন্য খোলামন নিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করেছি এবং স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে ভাষাগত দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আর ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন নতুন শব্দ শিখেছি এবং সেগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি।

ঢাকা মেইল: উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় আর্থিক ব্যবস্থাপনা কেমন হওয়া প্রয়োজন।

তানজীম: আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য ফান্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি, আবাসন, খাবার এবং অন্যান্য ব্যয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট বাজেট থাকা প্রয়োজন। আমি আংশিক স্কলারশিপ পেয়েছিলাম, যা আমার জন্য অনেক সাহায্য করেছে। এছাড়া পার্ট-টাইম কাজ করে বাকিটা ফিলাপ করছি।

ঢাকা মেইল: আমেরিকায় পড়াশোনার পাশাপাশি জব করার সুযোগ পাওয়া যায় কেমন?

তানজীম: আমেরিকায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার বেশ কিছু সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে কাজ করতে পারেন, যা সাধারণত প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ। ছুটির সময়ে এই সময়সীমা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। অন-ক্যাম্পাস কাজের মধ্যে ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি, রিসার্চ ল্যাব বা প্রশাসনিক অফিসে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি, কারিকুলাম প্রাক্টিক্যাল ট্রেইনিং (সিপিটি) শিক্ষার্থীদের তাদের কোর্সের অংশ হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেয়। সিপিটি হলো এমন একটি কর্মসূচি, যা কোর্স কারিকুলামের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত এবং ইন্টার্নশিপ বা কো-অপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করে। সিপিটি করার সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাস চালিয়ে যেতে পারেন এবং এটি পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম হতে পারে।

এসএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এই ক্যাটাগরির আরও খবর


News Hub