এক দিনের ব্যবধানে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। অল্প অল্প করে হাঁটাহাঁটি করতে পারছেন এবং খাওয়া-দাওয়াও করছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই অবস্থায় গতকাল গাজীপুরের কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তামিমকে। চিকিৎসকরা ২৪ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন তাকে। অবস্থার উন্নতি হলে পরিবারের সম্মতিতে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
বিকেএসপিতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলাকালে দুবার হার্ট অ্যাটাক হয় তামিমের। ভেন্যুর পাশে অবস্থিত কেপিজে হাসপাতালেই তার হার্টে রিং পরানো হয়। চিকিৎসকদের মতে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আরও ৩ মাসের মতো সময় লাগবে তামিমের। আপাতত এভার কেয়ারে চিকিৎসা নেবেন তামিম। ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার পর এবং ভিসা প্রক্রিয়ার কাজ হওয়ার পর থাইল্যান্ডে রওনা দেবেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে মাঠেই তামিম অসুস্থ হওয়ার পর আকরাম খানকে জানানো হয়েছিল তামিম আর বেঁচে নেই। মিরপুরে আজ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে লাল-সবুজ দলের টি-টেন ম্যাচ। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আকরাম। সেখানেই ম্যাচ শেষে এমন কথা জানিয়েছেন আকরাম খান।
আকরাম বলেন, ‘তামিমের অসুস্থতার খবর শুনে যে ভয় পেয়েছিলাম, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সত্যি কথা বলতে, যখন আমি খবরটা পেয়েছিলাম, ভীষণ রকম দুঃসংবাদ ছিল। আমাকে বলা হয়েছিল, তামিম আর নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবাদ পাওয়ার পর মুহূর্তের মধ্যে মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে রওনা দিলাম, কিন্তু পথ যেন শেষই হচ্ছিল না। প্রতি মুহূর্তেই মনে হচ্ছিল, সব ঠিক তো? তামিম কেমন আছে? দূর থেকে অপেক্ষা করাটা ছিল এক অস্থির সময়।’
বিজ্ঞাপন
কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রশংসা করে আকরাম বলেন, ‘ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলছিলেন, এমন পরিস্থিতিতে রোগী ফেরানোর সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। কিন্তু তামিম সৌভাগ্যবান; কারণ, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেয়েছে।’