ক্রিকেট দুনিয়া যতই আন্দোলিত হোক, পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথ শেষ পর্যন্ত একপেশে হয়। রোববারও তার ব্যত্যয় হয়নি। এদিনও দুবাই দেখল দুই পড়শির আরেকটি একতরফা ম্যাচ। বিরাট কোহলির ৫১তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি এবং ওয়ানডেতে দ্রুততম ১৪ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচে ভারত ছয় উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করল।
অপরাজিত ১০০ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা কোহলি ২৮৭ ইনিংসে এখন ১৪,০৮৫ রানের মালিক। তৃতীয় উইকেটে শ্রেয়াস আয়ারের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচসেরা কোহলি ৪৫ বল ও ছয় উইকেট হাতে রেখে জিতিয়ে দিলেন ভারতকে। অথচ এই কোহলি নিয়েই সম্প্রতি কম সমালোচনা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগে দলে জায়গা হবে কী না তা নিয়ে ছিলো নানা প্রশ্ন। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও সেভাবে ব্যাট হাসেনি কোহলির! যার জন্য সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন কোহলি। তবে ব্যাটিং ও ফিল্ডিং করে যেনো সে তার সব জবাব দিয়ে দিলেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় ওয়ানডেতে ভারতের হয়ে ফিল্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। ৪৭তম ওভারে নাসিম শাহ আউট হন কোহলির মুঠোবন্দী হয়ে। আর তাতেই সাবেক ভারত অধিনায়ক আজহারউদ্দিনকে (১৫৬ ক্যাচ) টপকে যান কোহলি। আজহারউদ্দিন জাতীয় দলের জার্সিতে নিয়েছেন মোট ১৫৬ ক্যাচ।
ম্যাচ শেষে কোহলি বলেন, 'সত্যি বলতে বয়স বাড়লে তো ভালোই লাগে! যাদের ২৩-২৪ বছর তাদের কেমন লাগছে কে জানে, আমার তো ভালো লাগে! এই বয়সেও আমি মাঠে পরিশ্রম করতে চাই। ফিল্ডিংয়ে নিজের শতভাগ দিতে হবে। নিজের কাজটা করে যেতে হবে। এ নিয়ে গর্বও অনুভব করি। আপনি যখন মাথা নিচু রেখে নিজের কাজটা করবেন, কাজ হবে। পরিষ্কার একটা ধারণা গুরুত্বপূর্ণ, বলে যখন গতি থাকবে, আপনাকে রান করতে হবে।'
ম্যাচে স্পিনারদের দারুণ সামলেছেন কোহলি। ঝুঁকি নিয়েছেন পেসারদের বলে। পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করেই সফল হয়েছেন এই তারকা।
বিজ্ঞাপন
রান তাড়া করতে নেমে পেসার থেকে স্পিনারদের একটু দেখে সামলিয়েছেন কোহলি। ঝুকি নিয়েছেন পেসারদের বিপক্ষে। এ প্রসঙ্গে বিরাট বলেন, 'গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন ব্যাটিং করলে ভালোই লাগে, যেখানে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা সামনে আছে। রোহিত আউট হওয়ার পর আমার কাজ ছিল মাঝের ওভারগুলোতে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া। স্পিনারদের নয়, পেসারদের বিপক্ষে ঝুঁকি নেওয়ার। ওয়ানডেতে আমি এভাবেই খেলি।'