২০২৫ আইপিএলের শুরু থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে খেলছেন বিরাট কোহলি। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স যেমন উজ্জ্বল, তেমনি দলের সাফল্যেও রাখছেন বড় ভূমিকা। নিজের খেলার ধরন নিয়ে নানা সময় সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই ভারতীয় ব্যাটার—বিশেষ করে, ‘ইগো’ বা আত্মমর্যাদা তার চালিকাশক্তি বলে অভিযোগ অনেকের।
তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কোহলি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—‘ইগো’ নয়, বরং ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে খেলা এবং দলের প্রয়োজন মেটানোই তার ক্রিকেটজীবনের মূলমন্ত্র।
বিজ্ঞাপন
আইপিএল সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান জিও হটস্টারের সঙ্গে আলাপচারিতায় কোহলি বলেন, “সম্প্রতি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এক ম্যাচে শ্রেয়াস আইয়ার ব্যাট হাতে দলকে এগিয়ে নিয়েছে। তখন আমি ধরে খেলেছি। এটা কখনোই ইগোর ব্যাপার ছিল না। আমি ছন্দে থাকলে, ম্যাচের ধারা অনুযায়ী এগিয়ে যেতাম। কেউ যদি আরও ভালো অবস্থানে থাকত, তাহলে তার হাতেই থাকত নেতৃত্ব। এটা কখনোই নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি সবসময়ই পরিস্থিতি বুঝে খেলার চেষ্টা করেছি। এটাই আমার গর্বের জায়গা।” নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেন কোহলি। তিনি জানান, আরসিবির হয়ে প্রথম তিন মৌসুমে নিয়মিত ব্যাটিং করার সুযোগই পাননি। শুরুর দিকে সাধারণত নিচের দিকে নামতে হতো, ফলে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগও ছিল সীমিত।
“২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত আমি মূলত নিচের দিকে ব্যাটিং করতাম। ফলে তেমন বড় কিছু করতে পারিনি। তবে ২০০৯ সালে কিছুটা ভালো খেলতে পারি। সেই বছর উইকেটগুলো আমার খেলার ধরনে মানিয়ে যাচ্ছিল। ২০১০ সাল থেকে ধারাবাহিকতা আসে। ২০১১ সালের মধ্যে আমি তিন নম্বরে নিয়মিত হয়ে যাই। তখন থেকেই আইপিএলে আমার পথচলা মূলত শুরু হয়,” বলেন কোহলি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম করার আগে আরসিবির ড্রেসিংরুমেই গড়ে ওঠে কোহলির মানসিকতা। তখন ড্রেসিংরুমে ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়, জ্যাক ক্যালিসের মতো তারকারা। কোহলির ভাষায়, “তাদের সঙ্গে থেকে আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার খেলা তখনও যথেষ্ট হয়নি। সেখান থেকে শেখা, মাথা নিচু রেখে পরিশ্রম করাই আমাকে আজকের জায়গায় এনেছে।”
বিজ্ঞাপন
এই মৌসুমে কোহলি কখনো রাজত পতিদারের জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন, আবার কখনো নিজে এগিয়ে এসেছেন পরিস্থিতি বুঝে। স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দলের প্রয়োজনে নিজের অবস্থান বদলাতেও তার কোনো আপত্তি নেই।