১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যশোর শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে জনসভা করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ। সে জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার ৫০ বছর পর এসে এই শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে জনসভা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পিতার ৫০ বছর পর একই জায়গায় ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জনসভাস্থলে পৌঁছাবেন বর্তমান সরকারপ্রধান। দেশের রাজনীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যশোর শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন ছাত্রলীগের কর্মী যশোর শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ ওসমান মঞ্জুর জানু। বয়স ৭৩ বছর।
৫০ বছর পরে সেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জনসভায় একই স্থানে উপস্থিত হয়েছেন এই প্রবীণ। স্মৃতির পাতা খুলে নিজের অনুভূতি জানালেন তিনি।
ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে মঞ্জুর জানু বলেন, ‘তখন আমার বয়স ২২-২৩ বছর। যশোর এমএম কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এখন যে স্টেডিয়াম, তার পশ্চিম দিকে সেদিন জনসভার মঞ্চ করা হয়েছিল। দুই পাশে গ্যালারি থাকলেও সম্মুখভাগ (বর্তমানে পৌর পার্ক) ছিল খোলা। তখন ডা. আব্দুর রাজ্জাক কলেজ হয়নি; ফলে পুরোটাই ফাঁকা ছিল। দুপুরের পরই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতারাও মঞ্চে ওঠেন। আমরা দুপুরের আগেই মাঠে উপস্থিত হই। সেদিন জনসমাগমের ২০ শতাংশে ছিল নারীদের উপস্থিতি। গোটা এলাকা লোকারণ্য হয়ে গিয়েছিল।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘দুপুরের পরই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুরু হয়। সবাই মনোযোগ দিয়ে ভাষণ শুনেছিলেন। এর আগে জাতীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। জনসভার মঞ্চে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক এমপি রওশন আলী, অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম, গজনবী মোক্তার ও ছাত্রলীগ নেতা আলী তারেক প্রমুখ। আশা করছি, ৫০ বছর পর একই মাঠে বঙ্গবন্ধুকন্যার জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’
বলা হচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই জনসভার মধ্য দিয়ে নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ফলে জনসভাকে ঘিরে উজ্জীবিত যশোর আওয়ামী লীগ।
কারই/এএস