যশোরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন এবং জনসমাবেশ ঘিরে ৩ স্তর বিশিষ্ট নিশ্চিত নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে প্রশাসন। ৬ হাজারের বেশি পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে। ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ড এই তিন ক্যাটাগরিতে দায়িত্বে আছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইওয়ান) মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জালে ঢাকা পড়েছে যশোর। সভামঞ্চ ঘিরে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সভাস্থল স্টেডিয়াম নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আর নিরাপত্তার প্রয়োজনে এসএসএফের দেওয়া ছক অনুযায়ী সাজানো হয়েছে যশোরকে। শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিতে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি হচ্ছে। এ বলয়ে যুক্ত করতে আশপাশের জেলা থেকেও আনা হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের।
তিনি আরও জানান, তিন ক্যাটাগরি মধ্যে সাদা পোশাকে থাকবেন যারা তারা চারিদিকে নজরদারির মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করবেন। অন্য পোশাকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে আর একটি গ্রুপ। রাস্তায় থাকবে থাকবে ট্রাফিক পুলিশ। এছাড়াও রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) ও আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) থাকবে টহল ডিউটিতে। এছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) থাকবে মঞ্চের আশপাশে নিরাপত্তার দায়িত্বে।
এছাড়া, সভামঞ্চের পাশে নির্মাণ করা ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো এলাকা নজরদারিতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সব কিছুই অবলোকন করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন এসএসএফর এর সদস্যরা
মশিউর রহমান আরও জানান, ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ড এই তিনটি ক্যাটাগরিতে কয়েক হাজার পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
বিজ্ঞাপন
টিবি