পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে জাতীয় সমাবেশ করা জামায়াতে ইসলামী চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের পথেই হেঁটেছে। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের নেতাদের সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিএনপিসহ পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করা কোনো দলকে তারা আমন্ত্রণ জানায়নি। তবে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে থেকেও আমন্ত্রণ পায়নি এবি পার্টি।
জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে বিএনপিকে শনিবারের (১৯ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। তবে জাতীয় সমাবেশে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বিজ্ঞাপন
শনিবার বিকেলে (১৯ জুলাই) দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জামায়াতের এই সমাবেশে বিএনপির কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
তবে সমাবেশে আমন্ত্রণের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিমের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, বিএনপিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
যদিও জামায়াতের একটি সূত্রে জানা গেছে, পিআরের পক্ষে থাকা দলগুলোকে কেবল এই জাতীয় সমাবেশে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির সমমনা রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা জামায়াতের সমাবেশের দাওয়াত পাইনি।
গত ২৮ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বেশ কিছু দাবিতে সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। যেখানে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
একটা সময় জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের প্রকাশ্য বিরোধ ছিল। এক দলের নেতাকর্মীরা অপর দলের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে অতীতের তিক্ততা ভুলে দল দুটির নেতাকর্মীরা কাছাকাছি আসতে শুরু করে। বিএনপির বাইরে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে যে রাজনৈতিক মোর্চা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে এতে জামায়াতের পরই আলোচনায় রয়েছে ইসলামী আন্দোলন।
গত ২৮ জুনের ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে জামায়াতের একাধিক শীর্ষ নেতা অংশ নেন। আজ জামায়াতের সমাবেশেও ইসলামী আন্দোলনের একাধিক নেতা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া জামায়াতের জাতীয় সমাবেশের সফলতা চেয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা কয়েক দিন ধরেই ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। অতীত ভুলে ইসলামপন্থী দুটি দলের কাছাকাছি আসা রাজনীতিতে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
বিইউ/জেবি
