রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশের অনুষ্ঠান চলছে। সমাবেশ উপলক্ষে শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকেই বাড়ছে নেতাকর্মীদের ঢল।
এরই মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। চারপাশের সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে হাজার হাজার নেতাকর্মী রাজধানীর রমনা পার্কে গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউ কেউ বসে আছেন, আবার কেউ শুয়ে পড়েছেন। হাতের কাছে যা পাচ্ছেন তা দিয়েই বাতাস করছেন।
জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের মধ্যে গরমের কারণে অস্বস্তি দেখা দেয়। কেউ কেউ গরমে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। রমনা পার্কে প্রতিটি গাছের তলায় ছোট ছোট গ্রুপ করে বসে কিংবা শুয়ে আছেন নেতাকর্মীরা। কেউ কেউ পাঞ্জাবি বা গেঞ্জি খুলে বসে আছেন শরীর শীতল করতে। ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে কাউকে কাউকে মাথায় ও গায়ে পানি দিতে দেখা যায়।

সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের প্রথম পর্ব, যেখানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা চলছে। এই পর্বটি পরিচালনা করছেন শিল্পী সাইফুল্লাহ মানসুর।
বিজ্ঞাপন
দুপুর ২টায় শুরু হবে মূল সমাবেশ, যেখানে সভাপতিত্ব করবেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। পিআর ভিত্তিক নির্বাচন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, রাজনৈতিক সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়াসহ সাত দফা দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সক্রিয় প্রায় সব রাজনৈতিক দলকেই এ সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সমাবেশস্থলে ওজু, টয়লেট ও নামাজের ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে মেডিকেল বুথ, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার উদ্যোগ। জামায়াত নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আয়োজনকে সুশৃঙ্খল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

জামায়াত নেতারা জানান, স্বাধীনতার পর গত ৫৪ বছরে তাদের নেতাকর্মীরা নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাকস্বাধীনতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার ধারাবাহিকতায় এই জাতীয় সমাবেশ।
এসএইচ/ইএ













































