রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশের কয়েকশত সদস্য। এছাড়াও মাঠে রয়েছে সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা। সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো চক্র অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা যাতে করতে না পারে সেজন্য প্রস্তুত রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সমাবেশস্থলের আশপাশে ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ বিষয়ে রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের পোশাকে এবং সাদা পোশাকে অনেক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তারা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশ ছাড়াও র্যাব, আনসার ও ডিবি সদস্যরা এই সমাবেশ স্থলের আশপাশে রয়েছে। ইতোমধ্যে ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কর্মীদের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। তাদের বিভিন্ন সেবা এবং নিরাপত্তায় কাজ করছে রাজনৈতিক দলটির প্রায় দশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। তারা প্রত্যেকে সবুজ রঙের উপর স্বেচ্ছাসেবক এবং জামায়াতে ইসলামী লেখা বিশেষ একটি কোর্ট বা পোশাক পরেছেন। এ সকল কর্মীরা সমাবেশে স্থলের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দলটির নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে ঢোকার জন্য সহায়তা করছেন।
আজকের সমাবেশে জামায়াতের ১০ লাখ নেতাকর্মী আসবে বলে দলটি জানিয়েছে। সমাবেশ স্থলে আসার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেন ভাড়া করেছেন তারা। এছাড়াও বাস ও লঞ্চেও নেতা-কর্মীরা এসেছেন। সমাবেশে জামায়াত ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে। দুপুর দুইটা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তার আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ খানেক কর্মী জড়ো হয়েছেন। ভোর থেকে গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, মহাখালী ও সদরঘাট থেকে পাঁয়ে হেঁটে দলে দলে কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসছেন।
এমআইকে/এএস













































