শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

জামায়াতের সমাবেশ ঘিরে খাবারের দোকানদার ও হকারদের পোয়াবারো

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

Food
খাবারের দোকানে সমাবেশে আগত মানুষের ভিড়। ছবি- ঢাকা মেইল

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতে চলছে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ। সেখানে জমায়েত হয়েছে কয়েক লাখ নেতাকর্মী। পাশাপাশি অসংখ্য উৎসুক জনতা তো আছেই। এই অবস্থায় পোয়াবারো সেখানকার খাবারের দোকানদার এবং হকারদের। 

এই সমাবেশকে উপলক্ষ্য করে আশেপাশে থাকা হকার ও ফুটপাতের খাবারের দোকানগুলোর ব্যবসা গত কয়েকদিনের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। চটজলদি খাবার, পানীয়, ফল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে নেতাকর্মীরা এবং সাধারণ জনতা ভিড় করছেন এসব দোকানে।


বিজ্ঞাপন


শনিবার (১৯ জুলাই) জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশের স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক ও কাকরাইল মোড় সরজমিনে ঘুরে একাধিক হকার ও ফুটাপাতের খাবারের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বললে এমন চিত্র উঠে আসে।

Food3

বিক্রির চাপ সামলাতে ব্যস্ত হকাররা

রমনা পার্কের সামনে মুড়ি বিক্রিতা আকরাম বলেন, ‘স্বাভাবিক দিনে সকাল থেকে তেমন চাপ থাকে না। কিন্তু আজ সমাবেশের কারণে সকাল থেকে ভিড় লেগেই আছে আমার দোকানে। মুড়িমাখা ও ছোলা বুট দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একটু বিশ্রাম নিতে পারছি না। তবে ব্যবসা ভালো হওয়াতে পরিশ্রম গায়ে লাগছে না।’


বিজ্ঞাপন


আনারস বিক্রেতা সিয়াম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আজ ৪ ঘণ্টায় ১৫০টি আনারস বিক্রি করেছি। নরমালি প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০টি আনারস বিক্রি হতো। কিন্তু আজ সমাবেশের কারণে বিক্রির পরিমান দ্বিগুণ।’ 

কাকরাইলের এক ফল বিক্রেতা জানান, ‘আগে দিনে এক হাজার টাকার মতো বিক্রি হতো। আজকে দুপুরেই দুই হাজার টাকার বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা কলা আর ডাবের।’

Food2

দোকানদারদের প্রস্তুতি

অনেক দোকানদার আগেই বাড়তি পণ্য মজুদ রেখেছেন। কেউ কেউ অতিরিক্ত সহকারী নিয়েছেন, যাতে চাপ সামলানো যায়। এক পান-সিগারেট বিক্রেতা বলেন, ‘আগামীকাল আরও বেশি ভিড় হবে শুনে আমি আমার ভাতিজাকে ডেকেছি সাহায্য করার জন্য।’

কাকরাইল মসজিদের সামনের চায়ের দোকানদার করিম। তিনি বলেন, ‘যখন শুনলাম জামায়াতের মহাসমাবেশ হবে। তখনই বাড়তি পণ্য মজুদ করছি। চা-পানের চাহিদ গতদিনের তুলনায় অনেক বেড়েছে। দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছি না। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে করতে।’

Food

নগর ব্যবস্থাপনায় বাড়তি চাপ

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ বাড়তি লোকজনের কারণে রাস্তায় ভিড় বেড়েছে। তবে এখনো তেমন বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, সমাবেশ ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে যান চলাচলে সমস্যা না হয়।

জামায়াতের মহাসমাবেশ ঘিরে একদিকে যেমন রাজনৈতিক আলোচনার ঝড়, অন্যদিকে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য এটি একটি ‘অপ্রত্যাশিত সুযোগ’। 

এমএইচএইচ/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর