ঈদযাত্রার পঞ্চম দিন আজ। ভোর থেকেই স্টেশনে যাত্রীর চাপ গত তিন দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। একটু বেলা হতেই স্টেশনে বাড়ে যাত্রীর আনাগোনা। অনেকে যানজটের কথা চিন্তা করে একটু আগেভাগেই কমলাপুর স্টেশনে আসছেন। তবে, ট্রেন ছাড়তেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে পুরো প্ল্যাটফর্ম। ছিমছাম ফাঁকা প্লাটফর্মে বসে যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন পরবর্তী ট্রেনের।
কমলাপুর স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার (১ মে) বেলা ১১টা পর্যন্ত আন্তঃনগর ও লোকাল মেইলসহ ২০টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে। তবে আগে নিয়মিত অভিযোগ ছিল দীর্ঘ শিডিউল বিপর্যয়ের। এখনও শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে তবে, সেটি আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার বেশি নয়।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, রোববার সকাল থেকেই প্রচুর মানুষের সমাগম। টিকিট ছাড়াই অনেকেই উঠে পরছেন ট্রেনে। কেউ কেউ আবার স্টেশন থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিটও নিচ্ছেন। তবে ট্রেনে আসনের তুলনায় মানুষ কয়েক গুণ বেশি। সিট না পেলেও অনেকেই দাঁড়িয়ে বা মেঝেতে বসেই ভ্রমণ করছেন।
এদিকে, বিনা টিকিটে কেউ যেন ভ্রমণ করতে না পারে এ জন্য স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুহূর্তে চেক করছেন রেলওয়ের কর্মীরা। যাদের টিকিট নেই তাদের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষকের বাড়তি ভাড়ার টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
অধিকাংশ ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের পরে ছাড়ছে। এ দিন কমলাপুর থেকে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা পর কমলাপুর স্টেশন ত্যাগ করে ট্রেনটি। এছাড়া রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেসও এক ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, এক ঘণ্টা বা ৪০ মিনিট বিলম্ব করে ট্রেন ছাড়াকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শিডিউল বিপর্যয় হিসেবে ধরছেন না। তারা এটিকে অপারেশনাল ডিলে বলছেন।
স্টেশন কর্তৃপক্ষের দাবি- আমরা সময়ের চেয়ে নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। অপারেশনাল কার্যক্রম খুবই ভালোভাবে চলছে। কয়েকটি ট্রেনে ২০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। এছাড়া আমাদের সবকিছু ঠিকই ছিল। তবে একটু সামাল দিতে কষ্ট হয়ে যায়। এত সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে স্টেশনে আসছে, তাদের ঠেকাতে অনেকসময় বেগ পেতে হচ্ছে। আবার মানবতারও একটা প্রশ্ন থেকে যায়!
এবারের ঈদযাত্রায় প্রতিদিন প্রায় ৫৩ হাজার যাত্রী ট্রেনে রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে যাত্রা করছেন। এরমধ্যে শুধু আন্তঃনগর ট্রেনে আসন সংখ্যা ২৭ হাজারের বেশি।
এএম/আইএইচ