বিপুল খান। চাকরি করেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য আগেভাগেই টিকিট কেটে রেখেছিলেন টুংগীপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহনে। কিন্তু এসি বাসের টিকিট কেটে প্রতারিত হয়েছেন তিনি। এসি বাসের কথা বলে দেওয়া হয়েছে নন এসি বাস, তাও আবার সিটও পাননি।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর গুলিস্তানে ফুলবাড়িয়া বাস কাউন্টারে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে নাড়ির টানে ঘরে ফিরতে এখানকার কাউন্টার গুলোতে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তবে বাস কাউন্টার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতারণায় প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কোনো কিছুতেই যেন এই নৈরাজ্য ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।
মোহাম্মদ বিপুল খান জানান, গত ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার জন্য টুংগীপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহনের ৪০২ নম্বর এসি গাড়িতে চারটি টিকিট কাটি। পরে যাত্রার তারিখ অনুযায়ী আজ যথারীতি বাস ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পরিবারসহ কাউন্টারে এসে পৌঁছাই। পরে কাউন্টারের পক্ষ থেকে যখন গাড়িতে যেতে বলা হয় তখন দেখি এটি একটি নন এসি গাড়ি। অথচ আমি টিকিট কেটেছিলাম এসি বাসের।
বিপুল খান বলেন, এসি বাসের টিকিট কেটেও নন এসি বাস দেওয়ায় আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাসে উঠেও দেখি সিট নেই। এমন অবস্থায় পরিবার নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছি।
তবে প্রতারণার বিষয়টি মানতে নারাজ টুংগীপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহনের টিকিট ম্যান বিপ্লব রহমান। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, ৪০২ নম্বরের গাড়িটি নন এসি গাড়িই। উনার হয়তো টিকিট কাটার বিষয়ে কোনো সমস্যা থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি দেখছি।
বিজ্ঞাপন
যদিও পরবর্তীকালে এসি বাসের দরেই পরিবারসহ ৪০২ নম্বরের সেই নন এসি বাসেই ভ্রমণ করতে দেখা যায় বিপুল খানকে।
টিএ/আইএইচ