ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের চাপ বাড়ছে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে। গত কয়েকদিন ধরে এই বাস টার্মিনাল যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকলেও সকালের কিছু পর থেকেই লোক সমাগম বেড়েছে। ফলে পর্যাপ্ত যাত্রী থাকায় নির্ধারিত সময়েই বাস ছাড়ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রী ও কাউন্টারের কর্মীরা।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে ৩টার দিকে মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা আসছেন। ঈদের আগে গতকাল বৃহস্পতিবারই শেষ কার্যদিবস চুকিয়ে আজ ঘরমুখো এসব মানুষ ছুটছেন এই টার্মিনালে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, পরিবহন সংশ্লিষ্টরাও জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। এ জন্য সকাল থেকেই অনেকেই আসছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও মনে করছেন তারা।
অন্যদিকে, মহাখালী বাস টার্মিনালের এনা পরিবহনের কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। সবাই সংগ্রহ করছেন টিকিট। কাউন্টারে দায়িত্বরত এনাম ঢাকা মেইলকে বলেন, যাত্রীর চাপ রয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত গাড়ি থাকায় যাত্রীদের কোনো সমস্যা হবে না। এখন পর্যন্ত গাড়ি লেট করে ছাড়েনি। কেননা গাড়িগুলো সময়মতো অন্য জেলা থেকে আসছে। যদিও আগামীকাল শনিবার (৩০ এপ্রিল) থেকে সড়কে যানজট হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
যাত্রীদের নিরাপত্তায় মহাখালী বাস টার্মিনালে পুলিশ, র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পও বসানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট ও ভিজিলেন্স টিমও কাজ করছে। তবে ঈদকেন্দ্রিক বাসভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
সাগর নামে এক যাত্রী অভিযোগ করেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল যাওয়ার জন্য এখানে তাকা নিরালা পরিবহনের কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আর কাউন্টারে টিকেট না দিয়ে যাত্রাপথে টিকেট দেওয়ার কথা বলছেন তারা। অন্যদিকে ভাড়াও দাবি করা হচ্ছে ৩০০ টাকা। যা অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় ১০০ টাকা বেশি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালে বিআরটিএ’র দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) উথাইনো (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী) ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘একজন যাত্রী আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন, তার কাছে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।’
ডিএইচডি/আইএইচ